টানা ছুটিতে বান্দরবানে হোটেল মোটেলে আগাম বুকিং

NewsDetails_01

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি উপলক্ষ্যে বান্দরবানের বেশিরভাগ আবাসিক হোটেলের ৫০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পরে হোটেল মোটেল ও চাঁদের গাড়ীগুলো বুকিং হওয়ায় খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরা। করোনার ক্ষতি, বন্যার ক্ষত এবং সর্বশেষ বিভিন্ন উপজেলায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এবার ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

২৮সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী আর ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর (শুক্র-শনি) সাপ্তাহিক বন্ধ মিলে মোট তিনদিনের টানা ছুটিতে বান্দরবান ভ্রমণ প্রত্যাশীদের আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে জেলার বেশ কিছু হোটেলের অধিকাংশ কক্ষ আগাম বুকিং নিয়ে রেখেছেন পর্যটকেরা। দীর্ঘসময় পর পর্যটন ব্যবসায় ক্ষতি গুনতে গুনতে হঠাৎ করে বুকিং হওয়ায় খুশি বান্দরবানের হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা।

বান্দরবানের আবাসিক হোটেল হিলটনের ম্যানেজার মো.আক্কাস উদ্দিন বলেন, ‘আগামী ২৮ ও ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বরের জন্য আমাদের হোটেলের প্রায় ৪০শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। সামনের কয়েকদিনে বুকিং আরও বাড়বে আশা করছি।

আবাসিক হোটেল প্যারাডাইস এর ম্যানেজার মো.নেছার বলেন,আমাদের হোটেলে ২২টি রুম রয়েছে আর তারমধ্যে ২৮ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে বান্দরবানে ভ্রমনে আসা পর্যটকদের ৭টি দল রুম বুকিং করেছে। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন আমাদের ব্যবসা বন্ধ ছিল তবে আগামী কয়েকদিন বান্দরবানে পর্যটক আসতে পারে।

এদিকে হোটেলের পাশাপাশি বান্দরবানের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে বেড়াতে এবার বুকিং হচ্ছে অনেক চাঁদের গাড়ী আর পর্যটকদের সাড়া পাওয়ায় খুশি পরিবহণ ব্যবসায়ীরা।

ট্যুরিস্ট গাড়ী চালক মো.কামাল বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ ঠিকমত গাড়ী চালাতে পারছিলাম না , আর পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছি,তবে সামনে কয়েকদিন সরকারী ছুটি রয়েছে আশাকরি বেশ কয়েকজন পর্যটক বান্দরবানে ভ্রমনে আসতে পারে, কিছু ভাড়া হতে পারে।

NewsDetails_03

বান্দরবান মাইক্রোবাস, জীপ ও পিকআপ মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মো.নাছির উদ্দিন বলেন, ২৮সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী আর ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর (শুক্র-শনি) সাপ্তাহিক বন্ধ মিলে মোট তিনদিনের টানা ছুটিতে বান্দরবানে আমাদের অনেক যানবাহন বুকিং হয়েছে, আশাকরছি এবার কিছুটা হলেও ব্যবসা হবে।

পর্যটকদের ভ্রমনের জন্য বান্দরবানে যে দর্শনীয়স্থানগুলো রয়েছে তার মধ্যে মেঘলা,নীলাচল,প্রান্তিক লেক, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত,নীলগীরিসহ দেবতাকুম অন্যতম আর জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশে প্রশাসনের পাশাপাশি বেসরকারীভাবে তৈরি হচ্ছে নানা ধরণের পর্যটকবান্ধব হোটেল-মোটেলসহ নানা স্থাপনা।

এদিকে বান্দরবান আবাসিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি অমল কান্তি দাশ বলেন, বান্দরবানে এখন পর্যটকদের জন্য প্রতিদিনই নতুন নতুন স্থাপনা তৈরির পাশাপাশি বাড়ানো হচ্ছে নানা সুযোগ সুবিধা,আর দীর্ঘসময় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ও বন্যার কারণে জেলার পর্যটন ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ হলেও এবারের ছুটিতে এই ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

এদিকে বান্দরবানে ভ্রমনে আসা সকল পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সার্বিক উন্নয়নে প্রশাসন কাজ করছে বলে জানায় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দীন।

জেলা প্রশাসক বলেন, শুধুমাত্র নিরাপত্তাজনিত কারণে রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকলেও অন্যান্য ৬টি উপজেলায় পর্যটকেরা অনায়াসে ভ্রমন করতে পারছে।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, সামনের বন্ধগুলোতে আরো পর্যটক বান্দরবানে আসার সম্ভাবনা রয়েছে আর তাই আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।

আরও পড়ুন