দক্ষ পুলিশ সুপার খাগড়াছড়ির মুক্তা ধর

NewsDetails_01

সারাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে যে ৩ জেলায় নারী পুলিশ সুপার রয়েছে তারমধ্যে কর্মদক্ষতা ও দ্বায়িত্ব পালনে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর অন্যতম। একজন নারী হয়েও নিজের মেধা, যোগ্যতা, সাহসিকতা ও দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে অন্যান্য জেলার পুরুষ পুলিশ সুপারদের সঙ্গে সমানতালে কাজ করছেন তিনি। ক্লু লেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ, দুর্ধর্ষ আসামিদের গ্রেফতার, সন্ত্রাসী দমন ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্স নীতি জনমনে বেশ সারা ফেলেছে। এছাড়া অগ্রিম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায়ও রয়েছে তার অবদান। এছাড়া নারী নির্যাতন, পাচার ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, একতরফা তালাকের ক্ষেত্রে দেনমোহর ও খোরপোষ আদায় এবং যৌতুকসহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার বিরুদ্ধে তার বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতেও কাজ করছেন তিনি।

জানা যায়, মুক্তা ধর ২০২৩ সালের ৭ আগস্ট খাগড়াছড়ি জেলায় প্রথম নারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০০৮ সালে ২৭তম বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশ ক্যাডারে যোগদানের পর থেকে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি। পৈতৃক বাড়ি নেত্রকোনায় হলেও জন্মস্থান দিনাজপুরে।

NewsDetails_03

সিআইডিতে বিশেষ পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন একাধিক ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেন মুক্তা ধর। সাহসী পুলিশিং কার্যক্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে ভূষিত হয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পাহাড়বার্তা’কে বলেন, আমার পেশাকে আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। নিজ দ্বায়িত্বের প্রতি সদা আন্তরিকতা ও ভালবাসা ছিলো বলেই আজ এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি। আমি আমার অবস্থান থেকে পুলিশ বিভাগকে শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। কর্মস্থলের মতো স্বামী-সংসার ও সন্তানের জন্যও দায়িত্ব পালন করি।

তিনি আরও বলেন, খাগড়াছড়ি জেলার অপরাধ প্রতিরোধ, দমন ও সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমি বদ্ধপরিকর। এ বিষয়ে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

আরও পড়ুন