পাহাড়ে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ-বেত শিল্প

NewsDetails_01

বাঁশ-বেত শিল্প বাঙালি সংস্কৃতির একটি বড় অংশ। এক সময়ে গ্রামীণ জনপদের মানুষরা বাঁশ দিয়ে ঘর ও ঘরের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করতো। আর এসব জিনিসপত্রের কদরও ছিল ভালো। একসময় গ্রামের ঘরে ঘরে বাঁশ শিল্পের দেখা মিললেও এখন সেখানে জায়গা করে নিয়েছে প্লাস্টিক পণ্য। প্রয়োজনীয় বাঁশের অভাব ও উপকরণের মূল্য বৃদ্ধিসহ প্লাস্টিক পণ্যের সহজলভ্যতায় বাঁশ শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে গ্রামবাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য বাঁশ-বেত শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে।

বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে এক সময় বাঁশ শিল্পের কাজ দেখা গেলেও এখন খুব একটা দেখা যায় না ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প। দিন দিন বিভিন্ন জিনিস-পত্রের মূল্য যেভাবে বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে না এই শিল্পের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের মূল্য। যার কারণে কারিগররা জীবন সংসারে টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছেন।

পাহাড়ের জুম চাষীদের প্রধান উপকরণ হিসেবে এখনো ঠিকে থাকলেও বর্তমানে তা প্লাস্টিকের সহজলভ্যতার কারণে সেখানে কমে আসছে।

NewsDetails_03

রাঙামাটি বনরুপা বাজারে বিক্রেতা চিত্তরঞ্জন চাকমা জানান, তিনি নিজেই বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন পণ্য প্রস্তুত করে হাটবাজারে বিক্রি করতে আসেন। হাটবাজারে কিছুটা বেচাকেনা হলেও তেমন কোনো ক্রেতা নেই। অধিকাংশ ক্রেতা জুমচাষী ও কৃষি ক্ষেতে যারা কাজ করেন তারা কিনে নিয়ে যায়। তবে তূলনামূলকভাবে বিক্রি হয় না। প্লাস্টিকের সহজলভ্যতার কারণে হয়তো একবারে বাঁশ-বেত শিল্প হারিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

পার্বত্য চট্টগ্রামে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলাগুলোতে দেখা যায়, জীবিকার তাগিদে বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রির জন্য বাজারে এসেছেন কারিগররা। তবে দাম ও ক্রেতা না পাওয়ায় অনেকে এই পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশার উপর নির্ভরশীল হয়েছেন। তবুও মাঝেমধ্যে জুমচাষী ও কৃষি কাজে ব্যবহার হয় বলে হাটবাজারগুলোতে দেখা মিলে এই বেত-বাঁশ শিল্প।

পাইকারি ব্যবসায়ি আব্দুল মান্নান জানান, বাঁশ-বেত শিল্প উপকরণগুলো দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে সংগ্রহ করে তারা চট্টগ্রাম, ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে থাকেন। তবে তূলনামূলক এখন ক্রেতাদের সংখ্যা কম।

আরও পড়ুন