বান্দরবানের তিন উপজেলায় চলছে লকডাউন

NewsDetails_01

করোনা মোকাবেলায় বান্দরবানের তিন উপজেলায় শুরু হয়েছে লকডাউন। জেলার পার্শ্ববর্তী জেলা কক্সবাজারে করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়ার কারনে মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে জেলার লামা, আলীকদম ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় লকডাউন কার্যকর হয়।

আর এ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরী করেছেন এস বাসু দাশ, লামা থেকে নুরুল করিম আরমান ও আলীকদম থেকে জয়দেব রানা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে বিদেশ থেকে আগতদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা, সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিতকরণ ও আক্রান্তদের চিকিৎসা সহায়তাসহ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বুধবার সকাল থেকে তিন উপজেলায় সেনাবাহিনীর সাথে পুলিশ সদস্যরাও টহলে নামেন, ফলে স্থানীয়রা কার্যত ঘরবন্দি।

আলীকদমের স্থানীয় বাসিন্দা চট্টগ্রাম কোর্টের শিক্ষানবিশ আইনজীবী মোঃ জমির উদ্দিন ও উন্নয়নকর্মী উইলিয়াম মার্মা বলেন, লকডাউন করায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ, বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের নিরাপদ রাখতে আমাদের উচিত প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলা ।

আরো জানা গেছে, উপজেলাগুলোর শপিংমল, বাণিজ্য কেন্দ্র, রেস্টুরেন্ট, বিনোদন পার্ক, সামাজিক অনুষ্টান, চায়ের দোকানের আড্ডাসহ জনসমাগম বন্ধ থাকতে দেখা যায়। তবে খাদ্য সামগ্রী, ঔষধ, নিত্যপণ্যের দোকান, কাঁচা বাজার, চিকিৎসা প্রতিষ্টান সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখতে বলা হয়েছে।

NewsDetails_03

এদিকে সকাল নয়টার দিকে আলীকদম জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল সাইফ শামীম পিএসসি আলীকদম বিভিন্ন এলাকায় টইল দেন। এসময় কোথাও জনসমাগম দেখলেই জোন কমান্ডার নিজেই দাড়িয়ে স্থানীয়দের করোনা ভাইরাস ও লকডাউন সম্পর্কে অবহিত করেন।

আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী রকিব উদ্দিন জানান,আলীকদম উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির গণ বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনাগুলো স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা মেনে চলছে।

জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত বান্দরবানে ৫০ জন কোয়ারেন্টিনে। এদের মধ্যে ৯ জন হাসপাতলে, বাকি ৪১ জন হোম কোয়ারেন্টিনে। বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে ।

লকডাউনের কারনে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় সেনা টহল। ছবি-পাহাড়বার্তা

এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, লক ডাউন বাস্তবায়নে বুধবার সকাল থেকে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কয়েকটি দল মাঠে কাজ করছে।

এদিকে বান্দরবান পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্দ্যেগে ৩শ সেচ্ছাসেবক মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর ব্যবহারে উদ্ভুদ্ধ ও স্প্রে করছে। অন্যদিকে সকাল থেকে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন জেলা শহরের বিভিন্ন স্পটে টহল দিতে দেখা গেছে, ফলে মানুষ কার্যত ঘরে অবস্থান করছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: শামীম হোসেন বলেন, লক ডাউন কার্যকর করতে জেলার তিন উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টিম কাজ করছে।

আরও পড়ুন