বান্দরবানের ৭ টোল পয়েন্টের ইজারা ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

NewsDetails_01

বান্দরবান জেলার লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রণাধীন ৭টি টোল পয়েন্টের ইজারা সংক্রান্ত হাইকোর্টে করা রিট পিটিশন মামলার প্রেক্ষিতে টোল পয়েন্ট ইজারা নিষ্পত্তি করতে নির্দেশনা দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা।

অনিয়মের অভিযোগ তুলে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার আবদুল হামিদ নামের এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইজারা নিস্পত্তির আদেশ দেওয়া হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর তারিখে স্বাক্ষরিত এক আদেশে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশনা দেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার উপ-সচিব মো.আলাউদ্দিন চৌধুরী।

আদেশে বলা হয়, টোলপ্লাজা ইজারা সংক্রান্ত মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন (৮২৭৯/২৩) মামলায় গত ১৪ আগস্ট তারিখে শুনানি পরবর্তী আদেশের প্রেক্ষিতে সরকারি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে বান্দরবান জেলা পরিষদের আওতাধীন লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সাতটি টোল পয়েন্টে প্রকাশ্যে দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা প্রদানের বিষয়টি যথাযথভাবে নিষ্পত্তি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও রিট পিটিশনকারী বাদি আবদুল হামিদকে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো। শুধু তাই নয়, উপ-সচিব মো আলাউদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে টোলপ্লাজা ইজারা প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্যও বলা হয়।

NewsDetails_03

প্রসঙ্গত, গত ৩০ মে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক্ষের স্মারক নং ২৯.৩৫.০৩০০. ০০৩. ৪২.০৪৭.২৩.৭৩৪ মূলে হাট বাজার ইজারা প্রদানের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে জেলার সর্ব মোট ১৩টি টোল পয়েন্ট ইজারাদার নিয়োগের জন্য দরপত্র আহবান করে কর্তৃপক্ষ। ইজারা গ্রহীতা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে জেলার একই উপজেলাগুলোতে সর্বমোট ২০টি টোল পয়েন্ট ইজারা প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি-এ তিন উপজেলার ৭টি টোল পয়েন্টের দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। অথচ এসব টোল পয়েন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত বাজারে ও নদী পথে টোল ট্যাক্স্রের পন্য দ্রব্য নিয়মিত চলাচল হয়ে আসছে। একটি মহল গোপনে এসব টোল পয়েন্ট ইজারার নামে নয় ছয় করার পায়তারা করেছেন বলেও দাবী করেন ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ, আবদুল মন্নান ও মাহাম্মদ হোসেন।

তারা বলেন, এসব টোল পয়েন্ট প্রকাশ্যে ইজারা দেওয়া না হলে প্রতি বছর সরকার কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে।

এ বিষয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আবদুল হামিদ নামের এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা রিট পিটিশনের আদেশ পাওয়ার পরপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জেলার ৭টি টোল পয়েন্ট পূণ: ইজারা দিয়ে নিস্পত্তি করা হয়। ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিস্পত্তির কপি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ব্রণালয়ের আইন শাখায় পৌঁছে যাবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন