বান্দরবানে ওএমএস চাউল বিতরণে এত অনিয়ম!

NewsDetails_01

বান্দরবান পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (ওএমএস) এর চাল সাধারণ মানুষকে ন্যার্য মূল্যে বিতরণের জন্য সরকারী গোডাউন থেকে সংগ্রহ করে, আর তা বিতরণ না করেই বেশি দামে বস্তায় বস্তায় বিক্রি করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাধারণ মানুষকে সঠিকভাবে ওএমএস এর চাল বিতরণ না করে চাউলের বস্তা মজুদ রাখা ও বস্তাগুলো পাচার করার অভিযোগ ওঠেছে। ইতিমধ্যে ডিলার আব্দুল জলিল এর মজুদকৃত চাউলের বস্তা রাতের আধারে পাচার করার কয়েকটি দৃশ্য সিসিটিভিতে ধরা পড়ার পর ক্ষোভ জানিয়েছে স্থানীয়রা।

আরো জানা গেছে, বান্দরবান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা না হলে ১৯৯৮ সাল থেকে পৌরসভার আর্মিপাড়ায় সরকারের ওএমএস এর ডিলার নিয়ে চাউলসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেন জলিল। সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) এর ডিলার এর দোকান খোলার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে ওঠে নানা অনিয়মের অভিযোগ।

পৌর এলাকার আর্মিপাড়ার বাসিন্দা, মো: আলমগীর বলেন, ব্যাপক অনিয়ম থাকলেও অদৃশ্য কারনে এই ডিলারশীপ বাতিল করা হয়না, নতুন ডিলার নিয়োগ ও সঠিকভাবে চাউল বিতরণ করা হোক।

সরকারি ভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখানো স্বাপেক্ষে প্রতিজনকে ৩০ টাকা কেজি দামে ৫কেজি চাউল ও ১৮ টাকা কেজি দামে ৫ কেজি আটা বিতরণের কথা থাকলে ও অনেক সময়ই ওজনে কারচুপি, বিতরণের নির্ধারিত সময়ের আগে বিতরণ বন্ধ করা, চাউলের বস্তা মজুদ রেখে বাইরে চড়া দামে বিক্রি করার অভিযোগ ওঠেছে আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে।

NewsDetails_03

বান্দরবান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আর্মিপাড়ার বাসিন্দা মো.কামরুল বলেন, ডিলার আব্দুল জলিল এর কারণে এলাকার সাধারণ জনগণ পর্যাপ্ত পরিমানে চাউল পায় না, গরীব, অসহায়কে চাউল দিতে প্রায়ই অপারগতা প্রকাশ করে তিনি।

একই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো.জাফর জানান, ডিলার আব্দুল জলিল এর কারণে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (ওএমএস) এর সুনাম নষ্ট হচ্ছে, সে যে রাতের আধারে চাউল পাচার করে তার ভিডিও এখন মানুষের মোবাইলে মোবাইলে।

তবে প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ও সরকারী ছুটির দিন ব্যাতীত পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৯জন ডিলার প্রতিদিনই সরকারি ভাবে ১টন করে ওএমএস এর চাউল সংগ্রহ করে খাদ্য গুদাম থেকে, ন্যায্যমুল্যে বিক্রির উদ্দ্যোশে।

তবে এই ব্যাপারে অভিযুক্ত ওএমএস ডিলার আব্দুল জলিল বলেন, কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে সবসময় ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, এসব অপপ্রচার।

এদিকে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আদুই রঞ্জন তংচঙ্গ্যা জানান, আব্দুল জলিল এর বিরুদ্ধে আগেও অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং তাকে সর্তক করা হয়েছে।

এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, বান্দরবান পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (ওএমএস) এর ডিলার এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি এবং ঘটনাস্থলে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে বিষয়টি তদন্ত করার কাজ শুরু করেছি।

আরও পড়ুন