বান্দরবানে গাড়ী খাদে পড়ে ৩ পর্যটক নিহত, আহত ৬

NewsDetails_01

বান্দরবানের থানচি উপজেলার জীবননগরে পর্যটকবাহী একটি গাড়ী নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৩ পর্যটক নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরো ৬ পর্যটক।

নিহতরা হলেন, ময়মনসিংহের মো: মঞ্জুরুল ইসলাম (৪০), ফরিদপুরের মো: জয়নাল আবেদিন (৩২) ও ঢাকার লালবাগ এলাকার বাসিন্দা মো: হামিদুল ইসলাম (৪১)। ঘটনায় আহতরা হলেন, মাগুড়া জেলার ওয়াহিদুজ্জামান (৪০), ব্রাক্ষনবাড়িয়ার নবিনগর এর ফারুক (৪০)। ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকার মোঃ মিলন (৩০), মানিকগঞ্জ জেলার মোঃ রাজীব মিয়া (৩০), ঢাকার মোঃ ফয়সাল (৩৫) ও গাইবান্ধা জেলার মোঃ আব্দুল মালেক (৫২)। তারা সবাই বুয়েট নিরাপত্তা শাখার কর্মচারী।

স্থানীয়রা জানায়, আজ বৃহস্পতিবার থানচির জীবননগর সড়কের ঢালু রাস্তায় পর্যটকবাহী একটি নোহা গাড়ী নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১ পর্যটক ও পরে আরো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুইজনের মৃত্যু হয়। এসময় আরও ৬ জন পর্যটক আহত হয়েছে। আহতদের ফায়ার সার্ভিস সদস্য ও সেনা সদস্যরা উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।

NewsDetails_03

ঘটনায় আহত পর্যটক রাজীব মিয়া বলেন, ঢাকা থেকে থানচিতে যাবার পথে জীবননগর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ীটি খাদে পড়ে যায়, এতে আমাদের সহকর্মীরা নিহত ও আহত হয়।

স্থানীয় ড্রাইভাররা মনে করছে, পার্বত্য জেলার সড়ক পথ সমতলের মতো নয়, পাহাড়ের আঁকা-বাকা ও উচুঁ-নিচু সড়ক পথে গাড়ি চালাতে বেশ অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। এখানে সমতলের ড্রাইভাররা গাড়ি চালালে এই ধরনের দূর্ঘটনা বেশি ঘটে,তাই পাহাড়ে বেড়ানোর সময় স্থানীয় ড্রাইভারদের ও গাড়ি ব্যবহার করলে সড়ক দূর্ঘটনার এই ঝুঁকি অনেক কম।

এই ব্যাপারে থানচি থানার এএসআই সত্যব্রত চাকমা জানান, পর্যটকবাহী গাড়ী খাদে পড়ে ৩ জন মারা গেছে ও ৬ জন পর্যটক আহত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত রাতে একই উপজেলার লিটক্রে সীমান্ত সড়কে চাঁদের গাড়ি উল্টে ৫ নির্মান শ্রমিক আহত হয়।

আরও পড়ুন