বান্দরবানে জনস্বাস্থ্যের বসানো হাত ধোয়ার বেসিন অকেজো

NewsDetails_01

করোনা থেকে বাঁচতে শুরু থেকেই বার বার হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। হাতের মাধ্যমে চোখ-মুখে যাতে জীবাণু না পৌঁছায়, এ জন্য সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার উপর জোর দেওয়া হয়। সে সুবাদে বান্দরবানে পথচারীদের সুরক্ষায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। কিন্তু দেশে করোনার প্রকোপ বাড়লেও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের হাত ধোয়ার বেসিন, কোথাও অকেজো আবার কোথাও উধাও হয়ে গেছে।

বান্দরবানে প্রথমধাপে ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় হাইজিন প্রকল্প’র আওতায় জেলা সদরসহ ৭টি উপজলোয় বিভিন্ন পয়ন্টে ৩১টি হাত ধোয়ার বেসিন এবং ১১টি পানির ড্রাম্প নির্মাণ করেছিল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। হাত পরিষ্কার করতে তাতে সাবান-পানি রাখা হয়। যাতে চলতি পথে জনসাধারণ হাতের নাগালেই পেয়ে যান হাত ধোয়ার সুযোগ।

জনসাধারণের হাত ধোয়ার জন্য বসানো বেসিনগুলো এখন ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকায় বেসিনগুলো এখন পরিত্যাক্ত। সাবান পানি বিহীন বেসিনগুলোর কোনোটির পানির টেপ নেই। পানির ড্রামে জমেছে ময়লার ভাগাড়। জমে থাকা ময়লা পানিতে হচ্ছে মশার প্রজনন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবান জেলা সদরের কয়েকটি স্পটও বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রথম ধাপের করোনা কালীন বেশ তড়িঘড়ি করেই বেসিনগুলো বসানো হয়েছিল, আর এই বেসিন বসাতে লোপাট করা হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। কিন্তু মাস না পেরোতেই অনেক বেসিনগুলো আক্ষরিক অর্থে ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। অব্যহৃত এসব সামগ্রিগুলো সরিয়েও নেওয়া হচ্ছে না। অনেক জায়গায় পানির ড্রাম নেই।

NewsDetails_03

বান্দরবান কলেজের ছাত্র গোলাম রাব্বানী বলেন, সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে ফুটপাতে বেসিনটি অনেক দিন যাবত নষ্ট। এগুলোতে ময়লা পানি জমে মশা জন্মাচ্ছে। কেউ কখনো সাবান পানি নিয়ে এসে রেখে গেছে মনে পড়ছে না।

বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম আহমদ বলেন, অকেজো হয়ে পড়ে থাকা হাত ধোয়ার বেসিনগুলো ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থা দেখা যায় জেলা শহরের মেম্বারপাড়া মসজিদের পাশে বসানো বেসিনগুলো।

এদিকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বেসিনগুলো পুনরায় সংস্কার করার কথা ভাবছে।

এই প্রসঙ্গে বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী শর্মিষ্টা আচার্য্য বলেন, অকেজো বেসিনগুলো সংষ্কারের চাহিদা পাঠানো হয়েছিল। ব্যবহার অনুপযোগী বেসিনগুলো পুনরায় সংষ্কার করে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন