বান্দরবানে ৫ জঙ্গি আটক, ৮ র‌্যাব সদস্য আহত

র‌্যাবের সাথে গোলাগুলি

NewsDetails_01

বান্দরবানের থানচি ও রুমা দুই উপজেলা সীমান্তের রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে দোলিচান ম্রো ও থামলো বম পাড়া মাঝখানের গহীন অরণ্যের লিটক্রে নতুন নির্মানাধীন সড়কের ২৪ কিলোর নতুন ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় র‌্যাবের সাথে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও জঙ্গি বাহিনীর সাথে গুলি বিনিময় হয়। এসময় ৫জন জঙ্গিকে আটক করেছে র‌্যাব। গোলাগুলির ঘটনায় র‌্যাবের ৮জন সদস্য আহত হয়েছে। তবে তাদের কারো নাম জানা সম্ভব হয়নি।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে র‌্যাবের প্রধান মহা পরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন বিকালে জেলার থানচি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে তমাতুঙ্গি পর্যটন কেন্দ্রে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানান।

ব্রিফিং কালে তিনি আরো জানান, সকালে থানচি, রুমা দুই উপজেলা সীমান্তে রুমা উপজেলা ৪ নং রেমাক্রি প্রাংসা দোলিচান ম্রো পাড়া এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)। এসময় র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গি ও কেএনএফ সদস্যরা। এসময় র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে দুপক্ষের গোলাগুলি শুরু হয়, যা বিকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

NewsDetails_03

তিনি আরো জানান, র‌্যাবের অভিযানে এ পর্যন্ত ৪৩জন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ও ১৪জন কেএনএফ সংগঠনের সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এঅভিযান অব্যাহত থাকবে, বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটি জঙ্গীদের ব্যবহার করতে দেওয়া হবেনা।

তিনি আরো বলেন, আনসারুল ইসলামসহ বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠন সবাই মিলে সংগঠন করেছে, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া। তারা সমতল থেকে পাহাড়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে, কারন যেখানে আইনশৃংখলা বাহিনীর পদচারনা নেই, সেই জায়গাকে বেছে নিয়েছে। এসময় র‌্যাবের অন্য উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয় ১৯ জেলার ৫৫ তরুণ। এ তরুনদের অনেকেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে নতুন করে কথিত হিজরতের নামে ঘর ছেড়ে জামাতুল আনসারের হয়ে পাহাড়ি এলাকার আস্তানায় আশ্রয় নেয়। এসব আস্তানায় হিজরত করা তরুণদের ভারি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেয় কেএনএফ। বিষয়টি জানার পর গত ১৭অক্টোবর থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূল করতে অভিযানে নামে র‌্যাব ও সেনাবাহিনী।

প্রসঙ্গত, কেএনএফ তৎপরতার কারনে গত ২৮ জানুয়ারী সন্ধ্যায় রুমার মারমা সম্প্রদায়ের ৫১ টি পরিবারের ১৪০জন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে রুমা সদরে আশ্রয় গ্রহন করে। রুমা সদরে মারমা ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে ৮ দিন আশ্রয় নেয়ার পর গত ৫ফেব্রুয়ারি বিকালে তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যায়।

আরও পড়ুন