লামায় মৎস্য প্রকল্প থেকে ৫ লাখ টাকার মাছ লুটের অভিযোগ

NewsDetails_01

বান্দরবানের লামা উপজেলার একটি মৎস্য প্রকল্প থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ৫ লাখ টাকার মাছ লুট করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় প্রকল্পের বাঁধ কেটে ১ লাখ টাকার ক্ষতিসাধণ করা হয়। শুধু তাই নয়, এ ঘটনায় প্রতিবাদ করায় মৎস্য প্রকল্পের কেয়ারটেকার ও মালিককে প্রাণ নাশের হুমকি দেন প্রতিপক্ষ।

চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া পৌরসভা এলাকার রুপকানিয়ার বাসিন্দা ডা. নুরুল হক (৬০),তার ছেলে দেলোয়ার হোসেন ডালিম (৩০) ও আনোয়ার হোসেন (২৮) গংদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন আরফাতুল ইসলাম নামের এক শারীরিক প্রতিবন্ধি। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি কুলান পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

অভিযোগে জানা যায়, সরই ইউনিয়নের কুলান পাড়ার বাসিন্দা জয়নাল আবেদীনের নামে আর ৩২নং হোল্ডিং মূলে পাঁচ একর জায়গা সরকারী তৌজিভুক্ত আছে। ১৯৮০-৮১ সালে বন্দোবস্তি পাওয়ার পর এ জমিতে বহু কায়িক শ্রম ও অর্থ ব্যয়ে মৎস্য প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বাগান সৃজন করে ভোগ করে আসছেন। এ জমি থেকে ছোট ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী আরফাতুল ইসলামকে মৎস্য প্রকল্পসহ ৫৮ শতক জমি ২৩/২০১৭ মুলে দান করার পর ২০১৭ সালের ১০ মে জেলা প্রশাসকের আদেশ মূলে ওই জমি তৌজিভুক্তও হয়। গত শনিবার সকাল ৯টার দিকে উল্লেখিত অভিযুক্তরাসহ আরো ৫০-৬০ জন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে মৎস্য প্রকল্পে হানা দিয়ে বাঁধ কেটে দেয় এবং জাল দিয়ে ১০ মন কাতাল, ১০ মন নাইলোটিকা, ১০মন গøাস কাপ, ২মন চিংড়ি মাছ, ৫ মন গুইন্যা মাছ জোর পূর্বক ধরে নিয়ে যান। এতে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয় আরফাতুল ইসলামের।

NewsDetails_03

আরফাতুল ইসলাম জানান, অভিযুক্তরা আমাদের জমি ও মৎস্য প্রকল্প বেদখল করার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনা জড়িত ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে সোমবার দুপুরে উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছি।

এদিকে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন ডালিম বলেন, ২০০২ সালে কুলান পাড়ার বাসিন্দা ইসমাইলগং থেকে আমার বাবা নুরুল হক তিনটি হোল্ডিং মূলে ১১ একর জায়গা কিনে তথায় মৎস্য প্রকল্প ও বাগান সৃজন করে ভোগ করে আসছি। ওইদিন আমরা আমাদের মৎস্য প্রকল্প থেকে মাছ ধরতে গেলে আরফাতুল ইসলামগং অযথা ঝামেলা করেন। আমরা আমাদের মৎস্য প্রকল্পে মাছ ধরতে যাওয়ার আগে থানায় সাধারণ ডায়েরীও করেছি।

এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. আরিফুর রহমান বলেন, দেলোয়ার হোসেন ডালিম কর্তৃক থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল গিয়ে উভয় পক্ষ কে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন