হুমকির মুখে রোয়াংছড়িতে-কচ্ছপতলি সড়ক
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার কচ্ছপতলি ও শীলবান্ধা পর্যটন এলাকায় যাওয়া রাস্তা ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে ধসে হুমকির মুখে পড়ছে গ্রোক্ষ্যং পাড়া এলাকার সড়ক। দ্রুত সংস্কার করা না হলে সড়কটি ফের ধসে পড়তে পারে। একমাত্র সড়কটি ভেঙ্গে গেলে কচ্ছপতলি ও শীলবান্ধা পর্যটন এলাকার যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটবে বলে জানিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাবাসীরা।
কচ্ছপতলি থেকে রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর এবং বান্দরবান জেলা সদরে যাওয়ার এক মাত্র সড়ক ছাড়া আর কোন বিকল্প রাস্তার নাই বলে চলে। এর পাশাপাশি ওই সড়কের ভারী যানবাহন চলাচলে সড়কটি যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এই রাস্তা থেকে নোয়াপতং ও আলেক্ষ্যংসহ দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রায় ৫ হাজারের মানুষ প্রতিনিয়ত চলাচল করে।
এদিকে কৃষি পণ্যবাহী ড্রাইভার মো: মাহবুব (৩৫) বলেন, প্রায় সময় আমি বিভিন্ন মৌসুমী ফল কলা, শসা, পেঁপে, হলুদ, আদা, কচুসহ কাঁচামাল নিতে কচ্ছপতলি বাজার এলাকাতে আসি। পণ্যবাহী অবস্থায় গাড়ি চালানোর সময় ওই ভাঙ্গা রাস্তা এলাকার পৌঁছলে মাঝে মাঝে আতঙ্কিত হতে হয়। কোন কারণে গাড়ি চাকা পিছলে খেলে প্রায় ৩০০ ফুট নিচে খাদে পড়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। দ্রুত সড়ক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলে দুর্ঘটনা থেকে রেহায় পাবে আমার মতো অনেকে।
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষক এবং কাঁচামাল ব্যবসায়ী সাচিংথুই মারমা বলেন, এখন অধিকাংশই সড়ক ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া বাকি রাস্তাও ভাঙনে মুখে রয়েছে। ভারী যানবাহন গেলে যে কোন মূহুর্তে ভেঙ্গে দুর্ঘটনা হতে পারে। এ রাস্তা সংস্কার করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসের (স্থানীয়) উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা নুসিং মারমা বলেন, এ সড়ক দিয়ে যাওয়া আসা করতে ব্যাপক ঝুঁকি রয়েছে। ভেঙ্গে যাওয়া সড়কটি তিন বছরে মধ্যে রোয়াংছড়ি এলজিইডি বিভাগ থেকে দুইবার সংস্কার করা হয়েছে। শুধু সংস্কার করলে হবে না, দ্রুত ভাবে টেকসই কাজ না করলে পুনরায় রাস্তাটি একেবারে সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী দিবাকর রায় এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।