অপরুপ বান্দরবানের রুপালি ঝর্ণা

NewsDetails_01

বান্দরবান সদর উপজেলার রেইছার সিনিয়র পাড়া। সবুজ পাহাড় আর প্রকৃতি মিলে দারুণ এক ছোট গ্রাম। কিছুদিন আগেও এই এলাকার নাম শোনা যায়নি বিন্দুমাত্র, কিন্তু এই এলাকায় রুপালি ঝর্ণা আবিস্কারের ফলে প্রতিদিনই পর্যটকরা ছুটে যাচ্ছে সেখানে।

চট্টগ্রাম-কেরানীহাট-বান্দরবান সড়ক ধরে গেলে বান্দরবান জেলা শহর থেকে ছয় কিলোমিটার আগে রেইছা বাজার। বাজারের পাশেই সেনাবাহিনী-পুলিশের নিরাপত্তা চেকপোস্ট সংলগ্ন ইট বিছানো রাস্তা ধরে কিছুক্ষণ হাঁটলেই চোখে পড়বে রুপালি ঝর্ণা। সড়ক থেকে এক কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত এই ঝর্ণার খবর দুই-তিন বছর আগেও বাইরের মানুষের কাছে ছিল অজানা। সিনিয়র পাড়ার বাসিন্দারাই পর্যটকদের এই ঝর্ণা খবর দেন। এরপর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারাদেশ থেকেই পর্যটকেরা ছুটে যাচ্ছে এই ঝর্ণা দেখতে। এটি এখন জেলার সবচেয়ে কাছের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনস্পট হয়ে উঠেছে। রুপালি ঝর্ণার অপূর্ব শোভা দেখতে ছুটে আসছেন শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু।

রুপালি ঝর্ণায় গিয়ে নানা বয়সের পর্যটকদের কেউ পানিতে নেমে গোসল করছে, আবার কেউবা মুঠোফোনে সেলফি তুলেই সামাজিক যোগাযোগ আপলোডে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে।

ঝর্ণার পাশেই ছোট্ট একটি চায়ের দোকান চালান স্থানীয় বাসিন্দা মো:জাফর আলম। তিনি জানালেন, কয়েক বছর আগেও এই ঝর্ণার খবর বাইরের মানুষ জানতই না, আর এখন প্রতিদিন শত শত পর্যটকের ভিড়ে মুখর হয়ে উঠেছে এলাকাটি।

NewsDetails_03

ঢাকা থেকে রুপালি ঝর্ণায় বেড়াতে আসা কামাল জানান, শহরের কাছাকাছি এত সুন্দর ঝর্ণা দেখে আমার খুব ভালো লাগছে,ঝরণার হিমশীতল পানিতে আমার মন প্রাণ জুঁড়ে গেল।

ময়মনসিংহ থেকে বনভোজনে বান্দরবান এসেছে রুস্তম আলম,তিনি জানান, এই ঝর্ণা খুব সুন্দর, আমার বেশ ভালো লেগেছে। এর আগে আমি বহুবার বান্দরবান এসেছি কিন্তু তেমন মজা না পেলেও এবার রুপালী ঝর্ণায় ভালো সময় কেটেছে।

এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত জানান, পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে বান্দরবানের টাইগারপাড়া-সিনিয়রপাড়া ও রুপালি ঝর্ণা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ করছি। এ সড়ক পুরোপুরি নির্মাণ হলে রুপালি ঝর্ণায় পর্যটকের ভিড় আরো বাড়বে এবং স্থানীয়দের জীবনযাত্রার মান অনেকটাই এগিয়ে যাবে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো:শামীম হোসেন বলেন, বান্দরবানে যে কয়টি ঝর্ণা রয়েছে তার মধ্যে রুপালী ঝর্ণা ও বেশ সুন্দর। আমরা আগামীতে এই ঝর্ণাকে আরো সুন্দররুপে পর্যটকদের কাছে উপস্থাপনের চেষ্টা করবো।

আরও পড়ুন