পর্যটন শহর ও মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ার কারনে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেশি থাকার সম্ভবনায় ৭ সদস্যের চিকিৎসা সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হলেও চিকিৎসা সামগ্রি না থাকায় জেলায় করোনা মোকাবেলার প্রস্তুতিতে ঘাটতি রয়েছে।
বান্দরবান সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, করোনা মোকাবেলায় বান্দরবান সদর হাসপাতালের ডা: মো: সাইফুল আজমকে প্রধান করে এবং ডা:প্রত্যুষ পল ত্রিপুরাকে সদস্য সচিব করে সাত সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন,ডা:মাহমুদ আল ফারাবী, ডা:সমিরন নন্দী,ডালিয়া হালদার, ইছাইনু চৌধুরী, শিমিয়ন ত্রিপুরা। তবে চিকিৎসা সামগ্রি না থাকায় করোনা ছড়িয়ে পড়লে জেলায় যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবেনা বলে মনে করছে অনেকে।
সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জনবল সংকটের পাশাপাশি বান্দরবান সদর হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতা ১শ জনের হলেও উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতির আইসিইউ/সিসিউ একটি বেডও নেই। তবে হাসপাতালের পাশে নার্সিং ইনিষ্টিটিউটে করোনা মোকাবেলায় ১শ বেড তৈরী করা হয়েছে।
বান্দরবান শহরের বাজার এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বলেন, পর্যটক প্রবেশ বন্ধ না হওয়ায় বান্দরবানে করোনা ছড়িয়ে পড়ার শংখা থাকলেও এই ব্যাপারে সতর্ক হতে প্রশাসনের কোন প্রচার প্রচারনা নেই।
এদিকে ইতালী,চীন,কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বেশ কয়েকজন প্রবাসী বান্দরবানে ফিরলেও এই ব্যাপারে খোদ সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কোন তথ্য নেই । ফলে করোনা মোকাবেলায় যথাযথ প্রস্তুতি না থাকা, ও সক্ষমতা তেমন না থাকায় উদ্বিগ্ন জেলার সাধারণ মানুষ।
করোনা মোকাবেলায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে ২ কর্মকর্তাকে বিশেষ প্রশিক্ষনের জন্য রবিবার ঢাকা পাঠানোর পাশাপাশি পিপিই (বিশেষ পোষাক) ৬০টি থাকলেও ৫ হাজারের চাহিদা পত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একটি সূত্র।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা:অংশৈ প্রু মারমা বলেন, জনগনকে সচেতন করতে প্রচার চালানো হবে এবং জেলা শহরের প্রবেশদ্বারে চেকপোষ্টে বিশেষ চেকিং করার জন্য আজ (রবিবার) জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।