বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ২১ নং বাইশারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি পাকা সিঁড়ি না থাকায় শিশু শিক্ষার্থীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন ঘটছে কোন না কোন দুর্ঘটনা। নতুন জামা পড়ে স্কুলে এসে প্রধান ফটকে কাদা মাটিতে পিছয়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে জামা কাপড়, বই, খাতা, কলম সহ নিত্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরন। ইতিমধ্যে কাদা মাটির পথ দিয়ে বিদ্যালয়ে উঠতে গিয়ে শিশু শিক্ষার্থী নাবিলা সহ আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। এসব কথা জানালেন বিদ্যালয়ের প্রবীন শিক্ষক চিংচালা চাক। তিনি অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলেন এখনো বর্ষাকাল শুরু হয়নি। এতেই ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়তের যে কঠিন সমস্যা পড়েছে আগামী দিনগুলোতে কি করে বিদ্যালয়ে আসবে তা নিয়ে তিনি নিজে ও শংকিত।
সরজমিনে দেখা যায় রাবার শিল্প নগরী বাইশারীর বাজারের পাশেই বিদ্যালয়টির অবস্থান। পড়া লেখায় এগিয়ে থাকলে ও অবকাঠামো গত উন্নয়নে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। প্রায় ছয়শতাধিক ছাত্র ছাত্রী রয়েছে বিদ্যায়টিতে। তবে যাতায়তের জন্য পথ রয়েছে একটি তাও কাদা মাটিতে করুন দশায় পরিনত হয়েছে।বিদ্যালয়টির উত্তর পার্শ্বে পাকা সিঁড়ি ও রয়েছে। কিন্ত বাউন্ডারী ওয়াল নির্মানের ফলে সেই পথটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আলহাজ কামাল হোছাইন জানান, বিদ্যালয়ে প্রবেশ পথ মাত্র একটি এবং পাহাড়ের উচুতে হওয়ায় শিক্ষার্থীদের এই করুন দশায় তিনি ও চিন্তিত। বিষয়টি তিনি কর্তৃপক্ষ কে অবহিত করবেন বলে জানান।
সরজমিনে আরো দেখা যায় বিদ্যালয়টি ম্যানেজিং কমিটির দক্ষ পরিচালনায় প্রাথমিক সমাপনী পরিক্ষায় শতভাগ পাশসহ ভাল ফলাফল অর্জন, খেলাধুলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এ উপজেলায় অনেক সুনাম রয়েছে। কিন্ত সিঁড়ি না থাকায় পড়ালেখার মান ও ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ, আলম কোম্পানি ছাত্র ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে উঠতে করুন দশার কথা স্বীকার করে বলেন বিষয়টি আগামী উপজেলা সমন্বয় সভা উপস্থাপন করা হবে এবং আরো একটি প্রবেশ পথের ব্যবস্থা করতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কামাল হোছাইন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে অবহিত করে তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।