কাপ্তাইয়ে বিস্ফোরণে বাবা-ছেলে নিহতের ঘটনায় শোকের ছাঁয়া 

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৪নং কাপ্তাই ইউনিয়নের বাদশা মিয়া টিলা নামক এলাকায় গত রবিবার সন্ধায় আকর্ষিক বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত একই পরিবারের বাবা ও ছেলের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া। 

গত সোমবার (৮ জানুয়ারী) সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিহত মোঃ ইসমাইল হোসেন এর বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে পড়ে আছে সবকিছু। যেই ঘরটিতে বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানে এখনো রক্তের চাপ রয়ে গেছে। দেখা গেছে এখনো সেই চা এবং ভাত রান্না করার চাউল পড়ে আছে ওই জায়গাতে। এঘটনায় নিহত মোঃ ইসমাইল হোসেন (৪৫) ও তার শিশু পুত্র রিফাত (৬) ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করলেও ভাগ্যক্রমে বাসায় না থাকাতে তার মেয়ে ইসরাত জাহান ফারিয়া (৭) প্রাণে বেঁচে গেছে। এছাড়া তার স্ত্রী মোছা সখিনা বেগম (৩৫) এ ঘটনায় গুরুতর অগ্নিদদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নিহত ইসমাইল হোসেন এর প্রতিবেশী মোঃ শহীদুল জানান, আমরা মসজিদে নামাজ পড়ার সময় বিকট একটি শব্দ শুনতে পায়। পরে এসে দেখি মানুষের আহাজারি ও ঘরের ভিতরে থাকা ইসমাইলের স্ত্রী কান্না করছে। ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় পরে আমরা দরজা ভেঙ্গে ডুকে দেখি, ইসমাইল ও তার ছেলে বিস্ফোরণে রক্তাত্ব অবস্থায় পড়ে আছে। সাথে সাথে আমরা দ্রুত পানি ঢেলে দিয়ে তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। 

NewsDetails_03

এবিষয়ে আরেক প্রতিবেশী রুমানা নামের একজন জানান, ঘটনার দিন গত রবিবার সকালেও ইসমাইলের বৌ সহ তিনি জীবতলি এলাকায় গিয়েছিলো গরুর ঘাস সংগ্রহ করতে। সেখানে তারা একটি লাল বল জাতীয় বস্তু দেখতে পাই। যেটি ইসমাইল হোসেন এর বউ খেলার বস্তু ভেবে ছেলের জন্য নিয়ে আসে। এখন এলাকাবাসী ধারনা করছে ওই বস্তুটি হয়তো বিস্ফোরিত হয়েছে। 

এদিকে সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে আরো দেখা যায়, তদন্ত কমিটির সদস্যরা ওই ঘর থেকে কিছু লোহার ক্লিপ সংগ্রহ করেছে। তবে কাপ্তাই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহীনুর রহমান জানান, তদন্ত টিম বিস্ফোরণের কারণ খুঁজতে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান।

এদিকে নিহতের লাশ সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে কাপ্তাই থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান। 

আরও পড়ুন