মাছ আহরণের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় নির্দিষ্ট সময়সীমা থেকে আরো ১০দিন মেয়াদ বাড়িয়ে মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে বিএফডিসি। মাছ শিকারের নিষিদ্ধের সময়সীমা ছিল ৩১ জুলাই। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে ১০ আগস্টপর্যন্ত করা হয়েছিল। এখন ২য় দফায় আরো ১০দিন বাড়িয়ে ২০ আগস্ট পর্যন্ত মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি অনুকুলে থাকলে ২১ আগস্ট থেকে উপমহাদেশের বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ করা যাবে জানিয়েছে বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ।
আজ সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে এক জরুরি সভার মাধ্যমে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি না বাড়ায় মাছ ধরার সময়সীমা আরও ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) কর্তৃপক্ষ। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট, মৎস্য অফিস, নৌ পুলিশ, বিএফডিসি এবং মৎস্য ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) সুত্রে জানা গেছে, বছরের এই বর্ষাকালীন সময়ে হ্রদে যে হারে পানির পরিমাণ বাড়ে, এই বছর তার ন্যূনতমও বাড়েনি। পানি না বাড়ার ফলে হ্রদে ছাড়া পোনা ঠিকভাবে যেমন বেড়ে উঠতে পারেনি, তেমনি এখন মাছ ধরা শুরু হলে পানি কম থাকায় ব্যাপক হারে মাছ ধরা পড়বে। এসব কিছু মাথায় রেখে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না বাড়ায়, আরও ১০দিন নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ মৎস উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) রাঙামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নৌ কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, হ্রদে পানি কম থাকার বিষয়টি আমাদের ভাবাচ্ছে। কারণ হ্রদে যদি নূন্যতম ১০৩/১০৪ ফুট পানি না থাকে তবে তা মাছের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এখন পানি আছে ৮৪.৬ ফুট। বিগত বছরগুলোতে এই সময়ে পানি ছিলো ৯৬ ফুট। সেই আলোকে এখন প্রয়োজনীয় পানি নেই। পানি না বাড়লে এখনই মাছ ধরা শুরুর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হবে। তাই আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মিটিংয়ের মাধ্যমে আপাতত বন্ধের সময়সীমা ১০ দিন বাড়িয়েছি।