খাগড়াছড়িতে বন্দুক যুদ্ধে নিহত ৩

অস্ত্র উদ্ধার

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় যৌথবাহিনীর সাথে বন্দুক যুদ্ধে ৩ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় ৩টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সন্ত্রাসীরা হলো, বুজেন্দ্র চাকমা, জ্যোতি চাকমা ও রশিল চাকমা।

স্থানীয় ও ‍নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রে জানা যায়,আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে এই ঘটনা ঘটে। জেলার দীঘিনালা উপজেলার বরাদম এলাকায় ইউপিডিএফ প্রসীত পন্থী দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানায় এই অভিযান চালানো হয়। এসময় শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউপডিএফ প্রসীত গ্রুপের সন্ত্রাসীদের সাথে সেনাবাহিনীর গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীদের দিক থেকেও ভারি অস্ত্রের গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা যায়। যৌথবাহিনীও পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে।

আরো জানা গেছে,উভয়পক্ষে প্রায় ১ঘন্টা গুলি বিনিময়ের পর টিকতে না পেরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তিন সন্ত্রাসীর লাশ উদ্ধার করে এবং ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

NewsDetails_03

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান জানান, দীঘিনালায় অভিযান চালালে সন্ত্রাসীরা যৌথবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে যৌথবাহিনী গুলি ছুড়ে, এতে তিনজন নিহত হয়েছে বলে শুনেছি।

পুলিশ সুপার আরও জানান, এখন সেখানে অভিযান চলছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ যাচ্ছে। তারা যাওয়ার পর হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে।

YouTube video

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা নিহতরা তাদের কর্মী বলে দাবী করেছে,অন্যদিকে ইউপিডিএফ এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যৌথ বাহিনী অভিযান অব্যাহত আছে।

প্রসঙ্গত,গত ১৮ আগস্ট রাঙামাটিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে সেনা সদস্য নাসিম মারা যায়।ঘটনার পর বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার নিরাপত্তা জোরদার করে সেনাবাহিনী।

আরও পড়ুন