তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র উদ্ধার রাঙামাটিতে
তিন পার্বত্য জেলার বর্তমান আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে রাঙামাটিতে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর ২০১৯) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ২দিন ব্যাপি এ বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অভিযান সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়। যৌথবাহিনীর তথ্যে জানা যায়, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র উদ্ধার হয় রাঙামাটিতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটিতে ১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১টি বন্দুক,১টি রিভালবার ৪টি পিস্তল, ৯টি এলজি,১টি শাটারগান, জি থ্রি রাইফেল ১টি,২টি ম্যাগজিন, ৩৮টি কার্তুজ, ১১২টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। চোরাচালান বিরোধী টাস্কফোর্স সংক্রান্ত ১২ হাজার ২৬৫টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এই অভিযানে আটককৃত পণ্যমূল্য ২কোটি ৪৬লক্ষ ৮৫হাজার ৫৪৫টাকা। এসংক্রান্ত ৭৮টি মামলায় ৯০জনকে আটক করা হয়েছে।
অন্যদিকে খাগড়াছড়ি জেলায় অস্ত্র আইনে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অস্ত্র আইনে ১৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বান্দরবানে অস্ত্র আইনে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়। ১৯ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে ১টি বন্দুক ও আগস্টে ২টি বন্দুক,১৫টি সীসার বল, ১টি ছুরি ও ১টি লোহার ফাইপ উদ্ধার করা হয়। চোরাচালান বিরোধী টাস্কফোর্স ৩হাজার ৫১৬টি অভিযান চালানো হয়। ৩৯ কোটি ৮৬লক্ষ ৮০হাজার ১১২টাকার পন্য উদ্ধার করা হয়। এই ব্যাপারে ৪২২ মামলা দায়ের করা হলেও কোন আটক নেই।
সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান বলেছেন,এখন এক জেলায় অপারেশন চালালে অপরাধীরা অন্য জেলায় পালিয়ে যায়। তাই তিন পার্বত্য জেলায় যে পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র আছে একই সময়ে চিরুনি অভিযান চালালে মিয়ানমার কিংবা দেশের পাশের জায়গাগুলো থেকে আসা অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা যাবে। এসময় তিনি আরো বলেন, সীমান্তে যদি রাস্তা হয়ে যায় তাহলে খুব দ্রুত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিতে পারবে।
সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে তিনি আরো বলেন,এই সরকারের সময়ে গত ১০ বছরে তিন পার্বত্য জেলার শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা উন্নয়নের জন্য দিয়েছে সরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের সভাপতিত্বে সভায় পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি,রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার,পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের সচিব মেসবাহুল ইসলাম,অতিরিক্ত সচিব সুদত্ত চাকমা,বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক মো: জাবেদ পাটোয়ারী,স্বরাষ্ট্র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহম্মেদ, চট্টগ্রাম বিভাগের ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো:শাফিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সভায় তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতনের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত রয়েছেন।