দুর্গম জনপদে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হচ্ছে অনাথ শিশুরা

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির
ক্যাকরোপ পাড়া (জুম খোলা) বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ী জনপদ ক্যাকরোপ পাড়া (জুম খোলা) বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রত্যন্ত অঞ্চলের হতদরিদ্র পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিশুদের জ্ঞানের আলো ছড়ানোর একমাত্র মাধ্যম।
গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন (গ্রাউস) মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় ২০১৩ সালে স্থানীয় বাসিন্দা ছাচিং মগের নামীয় ৪০ শতক জমির উপর ৪ কক্ষ বিশিষ্ট বিদ্যালয়টি নির্মানের ফলে অবহেলিত জনপদের শিশু সন্তানদের আরো একধাপ এগিয়ে নেওয়ার গুরুত্বপূর্ন সহায়ক ভুমিকা পালন করছে বিদ্যালয়টি।
বৌদ্ধ ভিক্ষু জানান, ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টার ফলে ক্যাকরোপ পাড়া বৌদ্ধ বিহারের অনাথ শিশুরা এবং পার্শ¦বর্তী গ্রামের অবহেলিত জনপদের শিশুরা আলোর মুখ দেখছেন। বর্তমানে অত্র স্কুলে জেলা পরিষদের অনুমতিক্রমে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বৌদ্ধ ভিক্ষুর সার্বিক সহযোগিতা এবং গ্রাউস মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও জেলা পরিষদের অর্থায়নে অনাথ শিশুরা ক্যাকরোপ ক্যউ ও: য়ারিদং আশ্রমে রয়েছেন ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ক্যাবাই মার্মা বলেন, বর্তমানে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত ১২৮ জন ছাত্র ছাত্রী ২ জন শিক্ষক ২ জন শিক্ষিকা রয়েছে বিদ্যালয়টিতে। সমাপনী পরীক্ষায় ৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছেন।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টার পর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত ৩ জন শিক্ষকের মাসিক ভাতা প্রদান করা হয়েছিল জেলা পরিষদ থেকে। এছাড়া ১ জন শিক্ষকের মাসিক ভাতা প্রদান করছেন গ্রাউস মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। বর্তমানে ৩ জন শিক্ষক বেতন ভাতা ছাড়াই পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তিনি আশা করছেন বিদ্যালয়টি অচিরেই জাতীয়করনের আওতায় আসবে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ক্যাজ মার্মা বলেন, এখনো বিদ্যালয়টিতে নানা সমস্যা রয়েছে। শিশুদের বিশুদ্ধ পানিয় জলের ব্যবস্থা, চলাচলের রাস্তা এবং অন্যান্য বিদ্যালয়ের মত বিস্কুট প্রোগ্রামের আওতায় আসে নাই। তিনি সমস্যা সামাধানের জন্য জেলা পরিষদ বান্দরবানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন

আরও পড়ুন