নাইক্ষ্যংছড়ি ও লামায় পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং

purabi burmese market

টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও লামা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রাণহানী ঠেকাতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী লোকজনদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সারাদিন প্রবল বর্ষণের কারণে নাইক্ষ্যংছড়ির সদরের স্কুল পাড়ার ছানা উল্লাহ মাতবরের বসতি ঘরের পাহাড় ধসের খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

পাহাড়ি ঢলে নাইক্ষ্যংছড়ি খাল ও বাঁকখালী নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বাড়তে থাকায় নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের বসবাসরত লোকজনকে সতর্কতা জারী করে নিরাপদ স্থানে চলে আসার জন্য মাইকিং এ অনুরোধ জানান উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরটিতে পানি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাতে প্রবল বৃষ্টি দিলেই রোহিঙ্গা শিবিরটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হবে প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গা।

স্থানীয় সাংবাদিক নুর মোহাম্মদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, গত রাত থেকে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে তুমব্রুর নোমেন্স ল্যান্ডের আশ্রয়িত রোহিঙ্গা শিবিরটি এখনো তেমন প্লাবিত দেখা যাচ্ছেনা। যদি রাতে টানা বর্ষণ হয় তাহলে তুমব্রু খালের পানি প্রবেশ করে এই রোহিঙ্গা শিবিরটি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

dhaka tribune ad2

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি জানান, স্থানীয় লোকজনকে সতর্কতার করে আশ্রয় স্থানে চলে আসার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে লামায় অতি বৃষ্টির কারনে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধ্বস দেখা দিয়েছে। এতে ওইসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। একই সময় উপজেলার বিভিন্ন স্থানের গ্রামীণ সড়কগুলো কোথাও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে আবার কোথাও ধসে পড়েছে বলেও জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, পাহাড়ে ঝুঁকিপুর্ণ বসবাস কারীদেরকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে তথ্য অফিস ও মসজিদগুলোর মাধ্যমে মাইকিং করে সচেতন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।