রাঙামাটি জেলার ৬২৯ জন শিক্ষক বেতন পাচ্ছেন না ৪ মাস

মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম

purabi burmese market

বাংলাদেশ ইসলামীক ফাউন্ডেশনের আওতায় রাঙ্গামাটি জেলার মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ৬২৯জন শিক্ষক-শিক্ষিকা গত ৪মাস ধরে বেতন ভাতা না পাওয়ায় চরম মানবেতর দিন যাপন করছে বলে জানা যায়।

জানা যায়, রাঙ্গামাটি জেলার দশটি উপজেলার বিভিন্ন দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় বিগত বছর যাবৎ সুনামের সাথে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শিক্ষকরা পাঠদান করে আসছেন। বর্তমানে করোনা সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে স্বল্প বেতনের এই সব শিক্ষকরা জানুয়ারী হতে এপ্রিল পর্যন্ত বেতন না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্দিনের মধ্যে দিন যাপন করছে। অনেক শিক্ষক এক বুক আশা করেছিল পবিত্র ঈদে বেতন ভাতা পেয়ে পরিবারের সকলকে নিয়ে আনন্দে ঈদ করবে। সে আশা আজ নিরাশায় ভাটা পড়েছে।

মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষার শিক্ষক মোঃ কবির হোসেন, হাফেজ আবুল কালাম, রেহেনা বেগম, জানান,আমরা বর্তমানে মানবেতর জীপন যাপন করছি। আমাদের চার মাসের সম্মানি ভাতাগুলো পেলে আমাদের পরিবারের ছোট শিশুসহ সকলকে নিয়ে চলতে পারতাম। বর্তমানে আমরা চরম আর্থিক সংকটে জীপন যাপন করছি।

কেয়ার টেকার সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০১৯সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত শিক্ষকদের বকেয়া বেতনভাতা পরিশোধ করা হলেও ২০২০সালের জানুয়ারী হতে এপ্রিল পর্যন্ত ৪মাস বেতন ভাতা না দেওয়ায়র উক্ত প্রকল্পের শিক্ষক/ শিক্ষিকারা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীপন যাপন করছে।

এসকল শিক্ষকরা ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি গণশিক্ষা কার্যক্রমে ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মাদক, পাচার, স্বাস্থ্যবিধিসহ বিশেষ অবদান রাখছেন।

dhaka tribune ad2

রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, রাজস্থলী, কাউখালী, লংগদু, নানিয়রচর, বরকল, রাংগামাটি সদর, জুড়াছড়ি ও বাঘাইছড়িসহ ১০টি উপজেলার ৬২৯ জন শিক্ষক- শিক্ষকরা এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটি জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান,আমরা জানি রাঙ্গামাটি জেলার দশটি উপজেলার ৬২৯জন শিক্ষক বহু কস্টে জীবন যাপন করছেন। তবে এ সকল শিক্ষকদের উপজেলা প্রশাসন নাম লিস্ট করে সহযোগিতা করা হলে শিক্ষকরা উপকৃত হত।

তিনি আরো বলেন,২০১৯সালে ৩১ ডিসেম্বর এই প্রকল্পেটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে বেতন পাচ্ছেনা তবে নতুন প্রকল্প চালু হলে তারা বকেয়া বেতন পাবেন। প্রকল্পটি আরো পূর্বে চালু হত তবে করোনার কারনে পিছিয়ে পড়েছে।তবে এ প্রকল্পের মন্ত্রী, মহাপরিচালকসহ সকলেই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তবে সামনে একটি সুসংবাদ দেওয়া যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।