লামা ও আলীকদমে সেগুন বাগানে পোকার আক্রমন : উদ্বিগ্ন শত শত বাগান মালিক

NewsDetails_01

বান্দরবানের লামা ও আলীকদম উপজেলার সেগুন বাগানগুলোর গাছের পাতায় পাতায় বাদামি রং ধারন করেছে। এক ধরনের পোকার আক্রমনে সেগুন গাছের পাতা বাদামি রং ধারন করে। দিন দিন এ পোকার আক্রমন বৃদ্ধি পেয়ে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়াসহ ব্যাপক ক্ষতির আশংকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন শতশত বাগান মালিক।

সূত্র জানায়,জেলার লামাও আলীকদম উপজেলার বিভিন্ন স্থানের পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে ব্যাক্তি উদ্যোগে হাজার হাজার একর সেগুন বাগান সৃজন করা হয়। অনেকে ব্যাংক বীমায় সঞ্চয় না করে এসব বাগান করতে পূঁজি বিনিয়োগ করেছেন বাগান মালিকরা। চলতি বর্ষা মৌসুমের যে সময়ে বাগানগুলো সবুজ পাতায় ভরে উঠার কথা, ঠিক সে সময়ে হঠাৎ এক ধরনের পোকার আক্রমনে গাছের পাতাগুলো ছিদ্র ছিদ্র হয়ে বাদামি রং ধারন করে। বাগানের এক পাশ থেকে শুরু হয়ে এটি আস্তে আস্তে পুরো বাগানে ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে পোকার আক্রমনে দুই উপজেলার কয়েক হাজার বাগানের ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, আলীকদমের শিবাতলী এলাকা, লামা উপজেলার মিরিঞ্জা, পৌর এলাকার লাইনঝিরি, নুনারঝিরি, চাম্পাতলী, টি.টি এন্ড ডিসিসহ বিভিন্ন এলাকার সেগুন বাগান গুলোতে এ পোকা আক্রমন করতে দেখা যায়। প্রতিটি পাতায় ছোট আকারের সবুজ রংয়ের ৩ থেকে ৪ টি পোকা পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলছে পোকার দল। পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলার পর পাতাটি দেখতে ছিদ্র ছিদ্র ও বাদামি রং ধারন করে এবং এক পর্যায়ে ঝরে পড়ে। কৃষি বিভাগের লোকদের মতে এগুলো ছিদ্র পোকা।

NewsDetails_03

লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের বাগান মালিক থোয়াইনু অং চৌধুরী, নুনারঝিরি এলাকার মো. ইউছুপ, আলীকদমের চৈক্ষ্যং এলাকার মোদাচ্ছেরসহ অনেক্য বাগান মালিক জানায়, সেগুন গাছের সবুজ বাগান গুলো পোকার আক্রমনে বাদামি রং ধারণ করেছে। একটি বাগান আক্রমন করার পর বাশের বাগানটি পর্যায়েক্রমে পোকার আক্রমনের শিকার হচ্ছে। গাছের পাতা ঝরে যাওয়ার কারনে চলতি মৌসুমে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হবে বলে তারা মনে করছেন বাগান মালিকরা।

এই ব্যাপারে লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান,এ সমস্যা আগে কখনো দেখা যায়নি। তবে এ নিয়ে ভয়ের কোন কারণ নেই। বৈশ্বিক জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবে এসব বালাই দেখা দিতে পারে।

তিনি আরো বলেন, লামা বন বিভাগ এর আলামত সংগ্রহ করেছে। এগুলো বন গবেষনাগারে প্রেরণ করা হবে।

আরও পড়ুন