অবশেষে স্ট্যান্ড রিলিজ নাইক্ষ্যংছড়ি শিক্ষা অফিসার আবু আহমদ

NewsDetails_01

শিক্ষা অফিসার আবু আহমদ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিতর্কিত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু আহমদকে অবশেষে স্ট্যান্ড রিলিজ (তাৎক্ষণিক বদলি) করা হয়েছে। কী কারণে তার বিরুদ্ধে এমন বদলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি।
তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, অহেতুক শিক্ষক হয়রানি, দূর্নীতি, ক্ষমতার দাপট ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে ওই সরকারি কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। ইতিপূর্বে তাঁর অভিযোগ নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন মিডিয়ায় লেখালেখিও হয়েছে।
আগামী ০৮ অক্টোবর তাঁকে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদানের নির্দেশনা দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নির্দেশ পাঠিয়েছেন। যার স্মারক নং- ৩৮.১০১.০১৯.০০.০০.০১৫.২০১৬-১৫৩। ০১অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন-২) নার্গিস সাজেদা সুলতানা স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞানে উল্লেখ করা হয়েছে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে বদলিকৃত কর্মকর্তা কর্মস্থলে যোগদান না করলে ৯অক্টোবর থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বলে গণ্য হবে।
অপরদিকে এ বদলির খবর শুনে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আবু আহমদ নাইক্ষ্যংছড়ি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ক্ষমতার দাপটে শিক্ষকদের বদলি হয়রানি ছাড়াও স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে তিনি অহেতুক বিভিন্ন শিক্ষককে হয়রানি করতেন। হয়রানির ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করতে সাহস পাননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক এক শিক্ষক নেতা বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি শিক্ষা অফিসার আবু আহমদ এর বদলির কথা শুনে উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে এখন রীতিমত স্বস্তি বিরাজ করতে দেখা গেলেও কোনো শিক্ষকই ওই কর্মকর্তার বদলির কথা শুনে দুঃখ প্রকাশ করতে শোনা যায়নি। শিক্ষ অফিসার আবু আহমদ বদলি আদেশ ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন একাধিক শিক্ষক।
এই প্রসঙ্গে জানতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু আহমদ এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন