খাগড়াছড়িতে করোনার লক্ষণে বাড়ছে পরীক্ষা

NewsDetails_01

খাগড়াছড়িতে চলতি মাসে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। করোনার লক্ষণ থাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে নমুনা দেয়ার সংখ্যা। তবে যে হারে নমুনা দেয়া হচ্ছে বা শনাক্ত বাড়ছে সে হারে রোগী নেই হাসপাতাল গুলোতে। এতে করে সংক্রমণের হার বাড়ছে বলে মনে করছেন নাগরিক সমাজ।

খাগড়াছড়ি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, গত ২২ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত ৭ দিনে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪ শ ৫২ জনের। যার মধ্যে ৭৬ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। আর এ সময়ে ২৩ জুন ৯৭ টি নমুনা সংগ্রহ হলেও সেদিন হাসপাতালের আইসোলেশনে ছিল ২২ জন রোগী, ২৫ জুন ১০৩ টি নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে ছিল ১৭ জন এবং ২৭ জুন ১৭১ টি নমুনার বিপরীতে ২০ জন। করোনার লক্ষণে নমুনা সংগ্রহ হলেও সন্দেহভাজন রোগীদের কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশনের ব্যবস্থা জোরদার নেই।

সচেতন নাগরিক কমিটি-সনাক খাগড়াছড়ির স্বাস্থ্য সেবার আহ্বায়ক মো. জহুরুল আলম বলেন, যারা করোনার লক্ষণ নিয়ে নমুনা দিচ্ছেন তাদের অন্তত ফলাফল না আসা পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক বা ব্যক্তিগত ভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রয়োজন। প্রশাসনের নজরদারি পাশাপাশি সচেতনতার অংশ হিসেবে যার যার অবস্থান থেকে এ বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার। নয়ত পাশের দেশ ভারতের মতো করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যেতে পারে।

NewsDetails_03

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা মতিন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত চলছে। যারা বিধি নিষেধ মানছে না তাদের জরিমানা হচ্ছে।

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ বলেন, সারাদেশে করোনার কমিউনিটি পর্যায়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা মানা হচ্ছে না। যারা করোনার লক্ষণ নিয়ে নমুনা দিচ্ছেন তাদের মধ্যে যাদের চিকিৎসা দরকার তাদের আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি ও সচেতনতার কোন বিকল্প নাই।

খাগড়াছড়ি জেলায় জুন মাসে ১ হাজার ২ শ ৯৮ টি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ শ ৬২ জন। শনাক্তের হারে যেটি ১২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। জেলায় মোট করোনা পজেটিভ ১ হাজার ৬৫ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।

আরও পড়ুন