জাল দলিল তৈরি করে বন বিভাগের ৫ একর জমি বিক্রি করছে ক্যান্টিন বাবুল

NewsDetails_01

বান্দরবান ও এর পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে ভূমি জালিয়াতি যেন থামছেই না। এবার জালিয়াতির মাধ্যমে চট্রগ্রাম দক্ষিন বন বিভাগের জমির জাল দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি করিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বান্দরবানের একটি প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে। আর এই চক্রটির নেতৃত্বে আছেন জেলা শহরের ভূমি মাফিয়াদের অন্যতম ক্যান্টিন বাবুল।

অনুসন্ধানে জানা যায়, জাল দলিল সৃষ্টি করে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন মইন্নার টেক এলাকায় বনবিভাগের ৫ একর জমি দখল করে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন বাবুল দাশ ওরফে ক্যান্টিন বাবুল, মোঃ ইউনুচ, আব্দুল সবুর, মোহাম্মদ জাহেদ, মোহাম্মদ হারুন, নুরুল আলম। এই চক্রের সাথে বান্দরবান ভূমি অফিস ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ভুমি অফিসের একটি চক্রও জড়িত।

জানা গেছে, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন মইন্নার টেক এলাকায় বন বিভাগের জায়গাটি বন বিভাগের সাবেক পদুয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বড় দোয়ারা বনবিট কর্মকর্তা মোস্তফিজুর রহমানকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ন জায়গাটি দখল করে প্লট বাণিজ্য করছেন এচক্রটি। ইতিমধ্যে বনবিভাগের জায়গা ৮০ শতক জায়গা ব্রিক্রি করে ফেলেছেন, অন্য জায়গাগুলো বিক্রির অপেক্ষায় আছে চক্রটি। জায়গাটি ক্রয় করেন বান্দরবান শহরের এক ব্যবসায়ী।

আরো জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়ার তহশিল ভুক্ত বনবিভাগের ৫ একর জমি দখল করে নেয় বাবুল দাশ গং। বাবুল দাশ, বান্দরবান জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ক্যান্টিন পরিচালনা করেন। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সরকারী জমির ভুয়া কাগজপত্র করে জেলা সদরের বিভিন্ন জায়গায় আরো জমি বিভিন্ন জনকে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

NewsDetails_03

আরো জানা যায়, জায়গাটি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার তহশিল ভুক্তজমি হলেও বান্দরবান সুয়ালক মৌজার বোমাং সার্কেলের দেখিয়ে মোহাম্মদ আইয়ুব ও ক্যান্টিন বাবুল বন বিভাগের কর্মকর্তাদের অর্ধকোটি টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে প্লট বাণিজ্য করছে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত বাবুল দাশ ওরফে ক্যান্টিন বাবুল কে ফোন করা হলে তিনি জানান, জমির মালিক আমি নয়, আমি বেচাকেনার সাথে জড়িত শুধু।

এই বিষয়ে চট্টগ্রামের পদুয়া রেঞ্জের সাবেক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, মইন্ন্যে টেক বনবিভাগের জমি ছিলো, ওখানকার লোকজন জায়গাটি দখল করার চেষ্টা করলে বনবিভাগ বাঁধা দেয়। তবে এইজমি বন বিভাগের নয় বলে মনে হয়েছে, তিনি বর্তমান বড় দুয়া রেঞ্জের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

অপরদিকে বড়দোয়ারা বনবিট কর্মকর্তা মোস্তফিজুর রহমান মইন্ন্যর টেক-এ বন বিভাগের কোন জমি নেই বলে দাবী করেন।

এই বিষয়ে বান্দরবান সদর উপজেলা কানুনগো মোঃ ইব্রাহিমের সাথে যোগাযোগ করা তিনি জানান, এই বিষয়ে তার কিছু জানা নেই, তিনি প্রতিবেদককে অফিসে দেখা করতে বলেন।

আরও পড়ুন