দারিদ্রকে জয় করে ওয়াগ্গা স্কুলের রেশমী তালুকদার পেলেন জিপিএ -৫

NewsDetails_01

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৫ নং ওয়াগ্গা ইউনিয়ন এর ৬ নং ওয়ার্ডের তালুকদার পাড়ার কৃষক অনিল তালুকদার। ২ মেয়ে এবং ১ ছেলের সংসারে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি কৃষি কাজ করে কোন রকমে সংসার চালান। অভাব যাঁর পরিবারের নিত্য সঙ্গী।

গত সোমবার প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে তাঁর ছোট মেয়ে রেশমী তালুকদার কাপ্তাইয়ের ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান বিভাগ হতে জিপিএ- ৫ অর্জন করে বুঝিয়ে দিলেন অদম্য মনোবল থাকলে সব কিছু জয় করা সম্ভব।

আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয়, রেশমী তালুকদার এর। সেই জানান, আমার বাবা অনেক কষ্ট করে আমাদেরকে পড়িয়েছেন, ঘরে সবসময় অভাব অনটন লেগে থাকতো। এরপরেও বাবা এবং মা আমাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। সেই সাথে স্কুলের সমস্ত শিক্ষকরা আমার পাশে ছিলেন। টাকার অভাবে ভালো শিক্ষক এর কাছে প্রাইভেট পড়তে না পারলেও সাফছড়ি এলাকার অনার্স পড়ুয়া বড় ভাই সুজন তনচংগ্যা ও সুদেব তনচংগ্য আমাকে পড়াশোনার ব্যাপারে নানা ভাবে সহযোগিতা করেছেন।

NewsDetails_03

সে আরোও জানান, আমার বাড়ী হতে ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুরত্ব প্রায় ৩ কিঃ মিঃ। অনেক সময় গাড়ী ভাড়া না থাকলে পায়ে হেঁটে স্কুলে এসেছি। ঝড়, বৃষ্টি, তুফানেও স্কুল কামাই করিনি। ভবিষ্যতে সেই একজন চিকিৎসক হয়ে এলাকার দরিদ্র জনগণকে সেবা করতে চাই।

তাঁর বাবা অনিল তালুকদার এবং মা শিলপতি তালুকদার জানান, আমার মেয়ে পড়া লেখার বাহিরে অন্য কোন আবদার করেনি। অভাবের সংসারে তাঁর অনেক শখ পুরণ করতে পারিনি। আজকের তাঁর এই ফলাফলে আমরা খুশি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবিমল তনচংগ্যা জানান, আজকে আমরা খুবই আনন্দিত। সেই স্কুলে সবসময় প্রথম হতো। শান্ত শিষ্ট এবং একজন মনোযোগী ছাত্রী হিসাবে সেই আমাদের সকলের প্রিয় ছিল। পিছিয়ে পড়া একটা এলাকা হতে জিপিও – ৫ অর্জন করা মোটেই সহজ কাজ নয়। আমরা শিক্ষকরা সবসময় তাঁর পাশে ছিলাম। তাঁর ভবিষ্যৎ জীবনের সফলতা কামনা করছি।

আরও পড়ুন