দিদি ওরা তোমাকে বাঁচতে দিলো না….

NewsDetails_01

বান্দরবানের সন্তান লিয়ানা ত্রিপুরা (২২)। পড়াশোনার খরচ যোগাতে চারবছর আগে জীবিকার তাগিদে পাহাড় থেকে গিয়েছিলেন রাজধানী ঢাকায়। কাজ করতেন গুলশানের এক পার্লারে। তবে পড়াশোনা শেষ করে আর উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হলো না বান্দরবান সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী লিয়ানা ত্রিপুরা পপির। লিয়ানা ত্রিপুরা বান্দরবানের থানচি উপজেলার ১নং ইউনিয়নের যোসেফ পাড়ার বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার গুলশানে একটি প্রাইভেট কারের (ঢাকা মেট্রো ঘ ১৩০৯০২) ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

লিয়ানার ভাই জয়ন্ত নিকোলাস ত্রিপুরা বোন লিয়ানার মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বোনের হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করেন। পাহাড়বার্তায় তা প্রকাশ করা হলো।

NewsDetails_03

দিদি ওরা তোমাকে বাঁচতে দিলো না….
তোমার আদৌ সুবিচার হবে কি না জানি না,

আমার আপন বোন,পপি ত্রিপুরা, আজ সকাল ১০.৪০ মিনিটে রিক্সায় করে অফিস যাওয়ার সময়, এক প্রাইভেট কারের ধাক্কায়, ঘটনাস্থলেই মারা যাই, গাড়ির নাম্বার ঢাকা মেট্রো ঘ ১৩০৯০২। কই, আসামি কে তো গ্রেফতার করা হলোনা,গাড়ির নাম্বার জানা সত্বেও। কই, কোন নিউজ চ্যানেলে তো হ্যাডলাইন হলো না,কেন আমার বোন কি কোন পশু ছিলো? ফুটফুটে ২৩ বছরের এক মেয়ে ছিলো। গুলসান এলাকায়, সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা চালু থাকে,পুলিশ চাইলে তো কয়েক মিনিটের ব্যাপার, আমরা মানসিক অবস্থা এখন কেমন তা জানই তোমরা।

আমি শুধু বলবো, আমার বোনের জায়গায় তুমি,আমি,তোমার বোন,ভাই থাকতে পারতো। আমার বোন মারা গেলো,কোন বিচার হবে না? এইটা তোমরাও চাইবে না। প্লিস, তোমরা যে যেভাবে পারো অন্তত পোস্টটা শেয়ার করে হলেও,যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে যাতে পরে সেই ব্যাবস্থা সুনিশ্চিত করো।

আরও পড়ুন