দীঘিনালায় সরকারি রাবার বাগান উজার

NewsDetails_01

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সৃজিত সরকারি রাবার বাগান উজার করে গাছগুলো লাকড়ি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটা ও তামাকচুল্লিতে। প্রভাবশালী একটি চক্র রাবার তৈরির উপযুক্ত গাছ কেটে নিলেও এ বিষয়ে মুখ খুলছেনা কেউ। বাগানের গাছগুলো নিধনের পর প্রকল্পের এসব জমি দখল করে সেখানে নতুন করে সৃজন করা হচ্ছে নানা ফলজ ও সেগুন বাগান৷ প্রকাশ্যে সরকারি বাগান উজারের বিষয়টি কর্তৃপক্ষ অবগত নন বলে দাবী করছেন। খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের গড়ে তোলা রাবার প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটেছে।

গত ১৮ মে (বুধবার) সকালে উপজেলার বোয়ালখালী ইউপির কড়ইতলী এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৮-১০ জন শ্রমিক সরকারি রাবার গাছে কেটে রাস্তার পাশে স্তুপ করছে। স্তুপ করা এ গাছগুলো বিভিন্ন ইটভাটা ও তামাকচুল্লিতে জ্বালানী হিসেবে বিক্রি করা হয় বলে জানায় তারা।

শ্রমিকরা জানায়, দৈনিক ৩-৪ ‘শ টাকা মজুরির বিনিময়ে গাছগুলো কর্তন করছে৷ এ গাছগুলো কারা কাটাচ্ছে জানতে চাইলে তারা অবগত নন বলে জানায়। এসময় গত ১ মাসে প্রায় শতাধিক একর রাবার বাগান উজার করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

NewsDetails_03

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অকালে এসব রাবার গাছ নিধনের পেছনের উদ্দেশ্য হলো প্রকল্প জমি বেদখল করে নানা ফলজ ও সেগুন বাগান সৃজন করা। এতে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে ধারণা করছে অনেকে।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দীঘিনালা রাবার উন্নয়ন প্রকল্পের দেখবালের দ্বায়িত্বে থাকা মো. আলম সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সরকারি রাবার বাগান উজারের বিষয়ে আমি অবগত নই। বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। খুব দ্রুত সময়ে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাছাড়া আমি একটি বিশেষ কাজে কুমিল্লায় আছি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের খাগড়াছড়ি কার্যালয়ের সুপারিটেনডেন্ট জসিম উদ্দিন বলেন, বাবার বাগান কর্তনের বিষয়টি আমি অবগত নই। আমি ছুটিতে এলাকার বাইরে আছি। তারপরও বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে ম্যানেজারকে বলা হবে।

আরও পড়ুন