নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিপি’র দফায় দফায় মর্টারশেল নিক্ষেপ : আতংকে স্থানীয়রা

NewsDetails_01

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তে মর্টারশেল নিক্ষেপ করেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)।

আজ রবিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্রু নো ম্যান্সল্যান্ডে কাছে এ ঘটনা ঘটে। এসময় পর পর ৩টি মর্টারশেল নিক্ষেপ করা হয় বলে জানা যায়। এর ফলে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ,কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, এ ঘটনায় পর মর্টারশেল যেখানে পড়েছে, সেখানে ঘিরে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, নিক্ষেপকৃত অবিস্ফোরিত মর্টারশেল তিনটি দ্রুত নিস্ক্রিয় করতে বিশেষজ্ঞ আসার কথা রয়েছে। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এগুলো নিস্ক্রিয় করা হয়নি।

নো ম্যান্সল্যান্ডের বসবাসরত রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় ওপারে গুলি বর্ষণের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল। এতে বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে সর্তক থেকে অ্যালার্ট রয়েছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার ৩৪,ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) অধিনায়ক লে: কর্ণেল মেহেদী হোসাইন কবির এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

NewsDetails_03

সীমান্তের টহলরত বিজিবি সূত্র জানান, বিজিবি কর্তৃপক্ষ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে এবং সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। তবে, সীমান্তে মর্টারশেল নিক্ষেপ বা গোলাগুলির বিষয়ে এই মূর্হুতে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।

কি কারণে বিজিপি হঠাৎ করে বেশ কয়েকদিন ধরে সীমান্তের নো ম্যান্সল্যান্ডের রোহিঙ্গা শিবিরের কাছে এভাবে ফাঁকা গুলি বর্ষণ, আর মর্টারশেল নিক্ষেপ করেছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে ঘটনার পর থেকে জেলার সীমান্ত এলাকায় বিজিবি টহল জোরদার করে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।

ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে গত বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) এক বিবৃতির মাধ্যমে নির্যাতনে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এবং অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে থাকা রোহিঙ্গাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। আর এই বিবৃতির পর রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতংক ছড়াতে এই মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটাতে পারে মিয়ানমারের বিজিপি।

এই ব্যাপারে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন, ২টি মর্টার শেল আমাদের অভ্যন্তরে পড়েছে, এরফলে স্থানীয়দের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। তিনি আরো বলেন, আমরা বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

উল্লেখ্য, গত ২২ আগষ্ট সোমবার থেকে ২৪ আগষ্ট সকাল পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছিল উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের নো ম্যান্সল্যান্ডের কাছাকাছি। সেখানে বসবাসরত ৫ হাজারের মতো রোহিঙ্গা এবং স্থানীয়া আতঙ্কে দিন পার করছে।

আরও পড়ুন