পার্বত্য চট্টগ্রামের কোন গ্রাম অন্ধকারে থাকবে না : শেখ হাসিনা
পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি বিশেষ অঞ্চল এবং প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। দুর্গম এ অঞ্চলটি নিয়ে সরকারের কর্ম পরিকল্পনা থাকে,বিদ্যুৎ নিয়েও আছে । পার্বত্য চট্টগ্রামের কোন গ্রাম অন্ধকারে থাকবে না। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে।
আজ বুধবার (১১সেপ্টেম্বর) গণভবন থেকে রাঙ্গামাটির সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কাপ্তাই সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এদিন তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় ৭ দশমিক ৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৈসর্গিকতার লীলাভুমি পার্বত্য চট্টগ্রাম একসময় অশান্ত ছিল। আমরা শান্তি চুক্তি করে শান্তি ফিরিয়েছি। এখন পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়নের জোয়ার চলছে। আর্থ সামাজিক অবস্থা ও মানুষের জীবনমানের উন্নতি ঘটছে। শুধুমাত্র পাহাড়ী দুর্গম এলাকা বিধায় শতভাগ বিদ্যুৎ পৌছানা সম্ভব না হলেও চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, যেখানে বিদ্যুতের লাইন নেয়া যাবে না, সেখানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া হবে। কোন গ্রামকে অন্ধকারে রাখা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে এসময় রাঙ্গামাটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক খবরাখবর নেন। এসময় তিনি শিক্ষার্থী ইতি চাকমা ও খামার মালিক মোঃ আকতার হোসেনের সাথেও সরাসরি কথা বলেন।
রাঙ্গামাটির সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধনকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার মাইনুর রহমান, বিদ্যুৎ মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব বায়েদ মিঞা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়,
সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, পৌরমেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান সহসীন,রাঙ্গামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদারসহ বিভিন্ন দপ্তরে সরকারি কর্মকর্তা ও সংবাদকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গতঃ রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় কাপ্তাই প্রজেক্টের ভেতরে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান বাঁধ সংলগ্ন দুই একর খালি জায়গায় ৭.৪মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত প্রকল্পটিতে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ১১০ কোটি টাকা।