পাহাড়ের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় সরকার আন্তরিক : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

NewsDetails_01

পাহাড়ের অন্যতম প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি (বৈসু-সাংগ্রাইং-বিজু) উৎসব ও বাংলা নববর্ষকে বরণ করার লক্ষ্যে খাগড়াছড়িতে বণার্ঢ্য মাঙ্গলিক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হল প্রাঙ্গণে মাঙ্গলিক শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি। বৈসাবি শোভাযাত্রার উদ্বোধন উপলক্ষে টাউন হলের চেতনা মঞ্চে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংহ্লামং চৌধুরীর সঞ্চালনা ও চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি। সভায় খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান, গুইমারা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পাহাড়ের মানুষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে আন্তরিক। রাজধানীতে পার্বত্য কমপ্লেক্স নির্মাণ যার বড় এক দৃষ্টান্ত। কারও ভাষা, সংস্কৃতি যেন হারিয়ে না যায় সে লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমাদের উচিত ইতিবাচক এসব উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখার।

NewsDetails_03

বৈসাবির শুভেচ্ছা জ্ঞাপন শেষে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পুরানো বছরে যত দুঃখ, গ্লানি, অকল্যাণকর ছিল তা ভুলে নতুন বছরকে আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। নতুন বছর সবার জীবনে কল্যাণ, সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে প্রত্যাশা করেন তিনি।
আলোচনা সভা শেষে বেলুন উড়িয়ে জেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মাঙ্গলিক শোভাযাত্রার উদ্বোধন করা হয়। শোভাযাত্রা পৌর টাউন হল থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে ৫ দিন ব্যাপী বৈসাবি উৎসব উপলক্ষে মেলার উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতমন্ত্রী।

শোভাযাত্রায় পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী নিজস্ব সংস্কৃতির পোষাক পরিচ্ছেদ তুলে ধরেন। ত্রিপুরাদের গরিয়া নৃত্য দল, মারমাদের ঐতিহ্যবাহী মূয়র ও ছাতা নৃত্য দল শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
অন্যদিকে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক মেলার উদ্বোধন শেষে মারমাদের ঐতিহ্যবাহী জলকেলী উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।

প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়িতে বৈসাবির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ১১ এপ্রিল মাঙ্গলিক শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে। এ বছর ইদুল ফিতরের কারণে আগেভাগে ৫ এপ্রিল থেকে এ আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন