প্রত্যেকটি মানুষ নিরাপদে নিজ ঘরে থাকার অধিকার রাখেন

লামায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান

NewsDetails_01

আমরা বিশ্বাস করি প্রত্যেকটি মানুষ নিরাপদে নিজ ঘরে থাকার অধিকার রাখেন। অন্যায় ভাবে কেউ কাউকে মারতে পারে না, উচ্ছেদ ও লুটপাট করতে পারে না। যদি প্রকৃতপক্ষে এটা আপনাদের জায়গা হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা এই জায়গায় থাকবেন, কেউ তুলে দিতে পারবে না। যদিও এই বিষয়ে গভীর তদন্ত হওয়ার দরকার আছে।

আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ঢেঁকিছড়া আমবাগান এলাকার রেংয়েং ম্রো পাড়ায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

এ সময় তিনি আরও বলেন, যারা অগ্নিকান্ড ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হবে। অন্যায়কারীকে ছাড় দেয়া হবে না। আমরা বিশ্বাস করি তারা অবশ্যই শাস্তি পাবে। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পাড়াবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা নিজেদের অসহায় মনে করবেন না। সরকার, স্থানীয় প্রশাসন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আপনাদের পাশে আছে।

NewsDetails_03

ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, কংজরী চৌধুরী, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ড. তানিয়া হক ও কাওসার আহমেদ, সচিব (যুগ্ম সচিব) নারায়ণ চন্দ্র সরকার, পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আশরাফুল আলম, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক, উপ-পরিচালক মো. আজহার হোসেন, উপ-পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) জামাল উদ্দিন, রাঙ্গামাটি জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আবু সালেহ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, সরই ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস কোম্পানি, রেংয়েন পাড়া কারবারী রেংয়েন ম্রো, লাংকুম পাড়া কারবারী লাংকুম ম্রো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে অভিযুক্ত লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজার মো. আরিফুর রহমান বলেন, ম্রো ও ত্রিপুরারা গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানির লীজকৃত জায়গায় জোর করে ছন বাঁশ দিয়ে ৩টি ঘর নির্মান করে পরবর্তীতে ১ জানুয়ারী তারা নিজেরাই আবার ওই ঘরগুলোতে আগুন লাগিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেস্টা করছে।

প্রসঙ্গত, উপজেলার ১ জানুয়ারী রেংয়েন ম্রো পাড়ায় কে বা কারা হামলা করে ৭-৯ টি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হয়। লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের লোকজন হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ম্রো ও ত্রিপুরারা।

আরও পড়ুন