বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পাড়াকেন্দ্র পরিদর্শনে চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা

NewsDetails_01

সাম্প্রতিক বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বান্দরবান পার্বত্য জেলার বেশিরভাগ পাড়াকেন্দ্র। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক মাচাং ঘর। কোন কোনটির আবার ভেঙে গেছে সিলিং । আবার কোনটির আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খুটি। পাঠদানে অনুপযোগী হওয়ায় অনেক পাড়াকেন্দ্রে বন্ধ আছে পাঠদান।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা জেলা সদরের গোয়ালিয়া খোলা, রেইছা বাজার, বিক্রিছড়া, লেমুঝিড়ি রোয়াজা পাড়া কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিসেফের রাঙামাটি জেলার প্রোগ্রাম অফিসার মংক্রাই, পার্বত্য চট্টগ্রাম টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের বান্দরবান জেলার সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক থুইমাপ্রু মারমা, ট্রেনিং ইনস্ট্রাক্টর চৌম্রাচিং মারমা, প্রোগ্রাম অফিসার (শিক্ষা) দুকুল মনি চাকমা, প্রোগ্রাম অফিসার সুশীল চাকমা প্রমুখ।

NewsDetails_03

জানা যায়, পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকায় প্রান্তিক শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক পাঠদান, প্রাথমিক চিকিৎসা, কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা, জনসচেতনতাসহ নানামুখী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালিত করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান নামের প্রকল্পটি ইউনিসেফের সহায়তা করছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান জেলায় ১ হাজার ৩০০টি পাড়াকেন্দ্র রয়েছে। তবে এবারের বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্থ পাড়াকেন্দ্রের মধ্যে বান্দরবান জেলায় রয়েছে ১০৮টি। এর মধ্যে বান্দরবানের লামায় ২০টি, আলীকদমে ১৭, রোয়াংছড়িতে ১৫, বান্দরবান সদরে ১৯, রুমায় ১৩, থানচিতে ১৭ ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৭টি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

পরিদর্শন শেষে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা বলেন, কয়েকটি পাড়াকেন্দ্র সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি। এর মধ্যে কিছু কিছু কেন্দ্র আংশিক আর কিছু কেন্দ্র পুরো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জেলা পরিষদ থেকে এগুলো মেরামতে সহযোগিতা করা হবে।

আরও পড়ুন