বান্দরবানে জুন ও জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

আহত অন্তত ১৯ জন

NewsDetails_01

লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি, ওভার ক্রস, প্রতিযোগিতামূলক গাড়ি চলাচল, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই যেন ভোগান্তির শেষ নেই চকরিয়া-লামা/আলীকদম সড়কে। তূলনামূলকভাবে দূর্ঘটনা কিছুটা কমে গেলেও থেমে নেই সড়ক দুর্ঘটনা। বান্দরবান জেলার মধ্যে গত দুই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় এগিয়ে রয়েছে চকরিয়া-লামা/আলীকদম সড়ক।

পাহাড়বার্তা’র গবেষণা সেল এর তথ্য অনুসারে গত জুন ও জুলাই মাসে বান্দরবান জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন, আহত হয়েছে অন্তত ১৯ জন। করোনার কারনে সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় প্রানহানী কম বলে জানা যায়। তবে অধিকাংশ গাড়ির ড্রাইভার অভিজ্ঞ না থাকায় দূর্ঘটনা হচ্ছে বলে ধারণা করছেন অনেকে।

লামা আলীকদম সড়কের বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ নূরুল হোসেন কোম্পানি জানান, লামা, আলীকদম সড়ক পাহাড়ি রাস্তা হওয়ায় দূর্ঘটনা হচ্ছে। বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বারবার ড্রাইভারদের সচেতন এবং সতর্ক করাও হচ্ছে।

NewsDetails_03

ড্রাইভার এবং গাড়ির ফিটনেস এর কথা জানতে চাইলে জানান, বাস ড্রাইভারদের সবার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে, তবে গাড়ির ফিটনেস এর সমস্যা রয়েছে বলেও জানান। লামা, আলীকদম সড়কে ২০০০ সাল থেকে বাস গাড়িতে এই পর্যন্ত তেমন কোনো বড় দূর্ঘটনা হয়নি। চাঁদের গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেল দূর্ঘটনা বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। গত ১৪’ই জুন লামায় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় প্রাণ হারান চিংহ্লাচিং মার্মা নামে একজন।

আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদ ইকবাল জানান, আমরা সবসময় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সচেতন করে যাচ্ছি। মোটর সাইকেল সমিতি কিংবা ড্রাইভারদের ডেকে নিয়ে এসে সচেতনমূলক আলোচনা সভাও করেছি। অপ্রাপ্তবয়স্ক, অভিজ্ঞতা না থাকায় লামা, আলীকদম সড়কে দূর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো জানান, করোনাকালীন গাড়ি চলাচল কম থাকায় আমরা মোবাইল কোর্ট ও মালিক সমিতির মানুষদের নিয়ে আলোচনা করতে পারি নি। খুব দ্রুত আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসবো।

আরও পড়ুন