বান্দরবানে ফের পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং

NewsDetails_01

ভয়াবহ বন্যার ক্ষতির রেশ কাটতে না কাটতেই ফের গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানবাসীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিতে পাহাড় ধস ও বন্যার আশঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে সরাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মাইকিং করছে স্থানীয় প্রশাসন।

এদিকে পাহাড় ধসে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো ও জানমাল রক্ষার্থে আজ রোববার সকাল থেকে বান্দরবানে পাহাড়ের পাদদেশ ও নদীর তীরে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসরত পরিবারদের নিরাপদে সরে যেতে পৌরসভার ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে সর্তক করা হচ্ছে।

পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে এ মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। জেলা সদরের হাফেজঘোনা, ইসলামপুর, কালাঘাটা, বড়ুয়ারটেক, বালাঘাটাসহ বিভিন্ন পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে ঘুরে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে মাইকিং করে সতর্ক করে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হচ্ছে, একই মাইকিং করা হয়েছে উপজেলাগুলোতেও।

এই ব্যাপারে বান্দরবানের পৌর মেয়র শামসুল ইসলাম বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারি বর্ষণের আশঙ্কায় ভূমি ধসসহ নদীর পাড়ে বসবাসরত ও নিঁচু এলাকার বসতবাড়ি তলিয়ে যেতে পারে, তাই তাদের নিরাপদ আশ্রয় গ্রহন করতে বলা হয়েছে।

NewsDetails_03

তিনি আরো জানান, বান্দরবান পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে এবং প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সার্বিক বিষয় তদারকির জন্য নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে জেলার সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদী পানি বাড়ার কারনে বন্যা ও ভূমি ধসের আশঙ্কা রয়েছে বান্দরবান ও লামা পৌরসভা, রুমা উপজেলায় যারা পাহাড়ে কিংবা সমতলে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুুত রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ১৯৯৭ সালের পর গত ৬ আগস্ট থেকে ১০আগস্ট পর্যন্ত অতিবৃষ্টি ও ভারি বর্ষণে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়, এসময় ১০জন নিহত ও আহত হয় শতাধিক। বন্যায় সরকারি ভাবে ৭০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির দাবি করা হলেও বন্যায় জেলার ৭টি উপজেলার সরকারি-বেসরকারী অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হিসেব করলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

এই ব্যাপারে রুমা উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, রুমা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কংগো পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘোনা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আপাতত ৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বান্দরবান জেলার পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে অন্তত ৪০ হাজার পরিবার। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। জেলার সাথে উপজেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।

আরও পড়ুন