রাইখালীর অবৈধ বালু তোলার যন্ত্রপাতি জব্দ
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ২ নং রাইখালী ইউনিয়ন এর পূর্ব কোদালার ষাটতলী এলাকায় অবৈধ ভাবে পাহাড় কেটে বালি উত্তোলনের সময় বালু তোলার ৩টি ড্রেজার মেশিন, সাড়ে ৪শ ফুট পাইপ, ১৫ লিটার ডিজেল এবং ২টি স্তুপে ১৩ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করেছে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান।
আজ সোমবার বেলা ১টা ৩০ থেকে ৩.৩০ টা পর্যন্ত তিনি এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এইসময় ৩টি পাহাড়ে পাহাড় কেটে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে পাচারের জন্য স্তুপকৃত বালু জব্দ করা হয়।
এদিকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান টের পেয়ে বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়।
এই সময় কাপ্তাই ৪১ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাব্বির আহমেদ এর নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা এবং এএসআই মোঃ ইকবাল হোসেন এর নেতৃত্বে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ এর সদস্যরা ভ্রাম্যমান আদালতকে সহায়তা করেন।
এইসময় বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাব্বির আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন যাবত কর্তৃপক্ষের অগোচরে অভিনব পদ্ধতিতে বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বালু উত্তোলন করে আসছিলো এবং নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংস করছিলেন। আজকে আমরা বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় বিজিবির সদস্যদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি এবং এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর দায়িত্ব পালনকারী কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, অনেকদিন ধরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধ ভাবে ছড়া, পাহাড় ও কৃষিজমি কেটে বালু উত্তোলন করে আসছে, যা আইনত সম্পূর্ণ অবৈধ। আশেপাশের কৃষি জমি গুলোও নষ্ট হচ্ছে,পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে।
পরে জনসম্মুখে বালি তোলার পাইপ ধ্বংস করা হয় এবং জব্দকৃত ড্রেজার মেশিন, বালি ও ডিজেল ২ নং রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মংক্য মারমার জিম্মায় রেখে পরে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ২,৫০০০০ টাকায় বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ৪ ধারা লংঘনের অপরাধে ৬০,০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।