রাঙামাটিতে হঠাৎ ধসে পড়ল ৬টি দোকান
রাঙামাটি শহরে হঠাৎ করে ৬টি দোকান ধসে পড়েছে। এতে কোনো মানুষ হতাহত না হলেও দোকানে থাকা মালামালের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। জানা গেছে, ওই দোকানগুলি অনেক পুরোনো। কোন ধারক দেয়াল না থাকায় ও মেরামতের অভাবে এ ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার (৫জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রিজার্ভ বাজার প্রধান সড়ক সংলগ্ন এলাকায় এসব দোকান ধসে পড়ে। খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বেলাল হোসেন বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা খবর পান রিজার্ভ বাজার প্রধান সড়কের পাশে কয়েকটা দোকান ধসে পড়েছে। এ ঘটনায় কোনো মানুষ হতাহত হয়নি। এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ণয় করা যায়নি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে আটটার দিকে হঠাৎ করে একসাথে ৬টি দোকান ধসে পড়ে। সরকার ঘোষিত চলমান লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ থাকায় কোন প্রানহানি ঘটেনি। তবে, মালামালের অনেক ক্ষতি হয়েছে। দোকান ধসে পড়ার সময় দোকান ভাড়াটিয়ারা দোকানের সামনে রাস্তায় দাঁড়ানো ছিল বলে জানা গেছে। রাঙামাটির বিশিষ্ট ব্যবসায়ি শওকত আলী, মোঃ আলী ও আকবর আলী এই দোকান প্লটের মালিক। স্থানীয়রা জানান, এই ধসের কারনে প্রধান সড়কটি মারাত্বক ঝুঁকিতে রয়েছে।
দোকান ভাড়াটিয়া হারুন, হেলাল ও মাসুদ জানান, টানা বৃষ্টিতে দোকানের নীচে গাছের খুঁটির মাটি সরে যাচ্ছিল এবং দোকান মেরামতের জন্য মালিকদের বারবার বলা স্বত্তেও তারা কোন উদ্যোগ নেননি। মালিকদের অবহেলার কারণে আজকের এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তারা।
পৌর কাউন্সিলর করিম আকবর বলেন, ধারক দেয়াল না থাকায় ও অনেক পুরনো দোকানগুলো দীর্ঘদিন মেরামত না করায় এই ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা উপমা। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন।
তিনি বলেন,বর্ষাকালে পাহাড়ি এলাকায় ধসের ঝুঁকি থাকে। এসময় তিনি পাহাড়ের পাদদেশে অতি ঝুঁকিতে থাকা স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে অবস্থান নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।