রুমা ছাড়া সব উপজেলায় ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

NewsDetails_01

বান্দরবানের সীমান্ত এলাকায় জঙ্গী সংগঠন ও কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানের কারনে গত ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া পর্যটক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা রুমা উপজেলা ছাড়া জেলার অন্য ৬টি উপজেলায় পর্যটক যাতায়াতে আর কোন বাধা নেই।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক স্বারক মূলে জানা যায়, জেলায় দেশি বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমন সংক্রান্ত জারিকৃত গণ বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় সদর দপ্তর বান্দরবান রিজিয়ন, বান্দরবান সেনা নিবাসের ১০ ফেব্রুয়ারি এক পত্রের আলোকে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনাকরত জেলার রুমা উপজেলা ছাড়া অন্য সব উপজেলায় স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকরা পূর্বের ন্যায় ভ্রমন করতে পারবে।

প্রতিবছর শীত মৌসুমে জেলায় হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটলেও এবার দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় দেশি বিদেশী পর্যটক না আসার কারনে জেলার দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল ও পাঁচ শতাধিক পর্যটক গাইড কর্ম শূন্য হয়ে পড়ে।

NewsDetails_03

এই ব্যাপারে বান্দরবান হোটেল মোটেল মালিক সমিতির অর্থ সম্পাদক রাজিব বড়ুয়া বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রায় সব উপজেলা থেকে প্রত্যাহার করার কারনে জেলায় পর্যটকের আগমন কিছুটা বাড়বে।

এদিকে গত শুক্রবার রুমা উপজেলায় একটি পাহাড়ের ঝিরি থেকে লালরামচন ওরফে লারাম বম (৪২) নামের এক পর্যটন ব্যবসায়ীর গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার বগালেকপাড়ার পূর্ব পাশে হারমনপাড়া এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যরা ওই ব্যবসায়ীকে ৫ ফেব্রুয়ারি বাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বগালেকপাড়ায় তাঁর কটেজ ও খাবারের দোকান আছে।

স্থানীয়দের ধারণা, লারাম বম আগে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) করতেন। তিনি বিভিন্ন মহলে তিনি গোপনে তথ্য দেন, এই ধারণা থেকেই হয়তো কেএনএফ তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হতে পারে। এই হত্যাকান্ডের ঘটনার পর থেকে উপজেলার পর্যটন ব্যবসায়ি ও পর্যটক গাইডদের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে।

আরও পড়ুন