লামায় চোর ধরলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার !
বান্দরবানের লামায় চোরের উপদ্রবে অতিষ্ট হয়ে এর চোর ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা পুরষ্কার ঘোষনা করেন বান্দরবানের লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থ বছরে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে বান্দরবানের লামা পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাতের বেলায় জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার্তে ১৬৯টি সোলার স্টীট লাইট স্থাপন করা হয়। ২০১৮ সালে পৌরসভার মাতামুহুরী ব্রিজ, লামা-রুপসীপাড়া সড়কের কাটাপাহাড়সহ ৪০টি স্থানে ৪০টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।
সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব লাইটের শুভ উদ্বোধন করেন।
এদিকে করোনা ভাইরাস আতংকে রয়েছে উপজেলাসহ পুরো দেশ। কিন্তু ‘চোরে না শুনে, ধর্মের কাহিনী’, করোনা আতংকও দমাতে পারেনি চোরকে। চোরেরা গত শনিবার দিনগত রাতের কোন এক সময় পৌরসভা এলাকার নয়াপাড়াস্থ হাইস্কুলের পিছনে স্থাপিত সোলার স্ট্রীট লাইটের প্যানেল চুরি করে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন বাদশা বলেন, খবর পেয়ে রবিবার সকালে পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এ স্ট্রীট লাইট চোরকে ধরে দিতে পারলে নগদ ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষনা দেন।
একই সময় তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আইডিতে পুরস্কারের ঘোষনার পাশাপাশি বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার তরী কাব্যের উদ্বৃতি দিয়ে লিখেছেন ‘সাত কোটি বাঙ্গালীর হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙ্গাল করে মানুষ তো করোনি’ বলে স্ট্যাটাস দেন।
এ বিষয়ে লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, মূলত বিদ্যুৎ না থাকা অবস্থায় সাধারন মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারেন সে জন্যই এই লাইটগুলো স্থাপন করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার লামা উপজেলা শহরের একটি স্বর্ণের দোকানের তালা ভেঙ্গে চোরের দল সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ ও ৩০ ভরি রুপার অলংকার নিয়ে যায়।