সীমান্ত দিয়ে ফের অনুপ্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা !

NewsDetails_01

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরকান আর্মি (এএ) ও দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারনে ফের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের সংঘর্ষের প্রভাব পড়েছে সীমান্ত এলাকায়। এ কারণে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে ফের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। গত দুই দিনে ১০-১৫ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের পাশ্ববর্তী কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। সম্প্রতি মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার এশারা বেগম (২৭), সাদেক হোসেন (৪০), মো. তাহের (১৩), মো. শরীফ (৯), বিবি আয়েশা (৭) ও বিবি জান্নাত (৩) পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।

ঘুমধুমের পার্শ্ববর্তী পালংখালী ইউনিয়নের থ্যাংখালী ক্যাম্প-১৯ এর বক্ল-১৬ এর মাঝি আবুল কাসেম (ছদ্মনাম) জানান, কয়েকজন রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসছে, বিষয়টি ক্যাম্প ইনচার্জকে জানানো হয়েছে।

আরো জানা গেছে, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে আরও হাজারো রোহিঙ্গা। জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু, বাইশফাঁড়ীসহ উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তারা অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। সীমান্তে নজরদারী শীতিল হলেই তারা অনুপ্রবেশ করবে।

এই ব্যাপারে ঘুমধুম ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ব্যবসায়ি ইমাম হোসেন বলেন, ঘুমধুম সীমান্তে কড়া নজরদারীতে আছে বিজিবি, আশা করি রোহিঙ্গারা আগের মতো অনুপ্রবেশ করতে পারবেনা।

NewsDetails_03

স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যে সংঘর্ষ চলছে, মিয়ানমারের ভূখণ্ডে চালানো ভারী অস্ত্রের গুলি ও মর্টরশেল এসে পড়েছে বাংলাদেশের ভূখন্ডে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ওই দেশের সংঘর্ষের ঘটনার অজুহাতে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসছেন। সীমান্তে কড়া নজরদারী বজায় না থাকলে আগের মতো আরও হাজার হাজার রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে।

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের বলিবাজার ও সাপ বাজার থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ পালিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

তবে এই ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন, কক্সবাজার জেলার আওতাধীন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে কিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। তবে অনুপ্রবেশের ঘটনা কতটুকু সত্য, তা খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের পয়েন্টগুলোতে কড়া নজরদারীতে আছে সীমান্তের আইনশৃঙ্খলা রক্ষী বাহিনী। এখনো উল্ল্যেখযোগ্য সংখ্যক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের খবরাখবর পাওয়া যায়নি বলেন মনে করছে তারা।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টান্টু সাহা বলেন, ঘুমধুম এলাকা আমাদের আওতার বাইরে, রোহিঙ্গাদের বিষয়টি বিজিবি ভালো বলতে পারবে।

আরও পড়ুন