খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, পাহাড়ের সন্ত্রাস দূর করার জন্য সরকার চেষ্টা করে আসছে। এরপরও কেউ সন্ত্রাস করে পার পাবেন না।
আজ বৃহস্পতিবার(১৮ নভেম্বর) কাপ্তাই উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার মাঠে চিৎমরম বৌদ্ধ বিহারের দায়ক-দায়িকাবৃন্দের আয়োজনে শুভ কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রধান দায়কের বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি আরোও বলেন, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রীস্টান সহ সকল সম্প্রদায় মিলে যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছি। কাজেই প্রত্যেক সম্প্রদায়ের লোকজন নিজেদের মতো করে ধর্ম পালন করবে। যারা বদ চরিত্রের মানুষ তাদের কোন ধর্ম ও জাত নেই। এটি একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। তিনি আগামী নির্বাচনে চিৎমরম ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রার্থীকে ভোট দেবার জন্য অনুরোধ জানান।
চিৎমরম বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত পামোক্ষা মহাথের এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠানে দায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধূরী, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জনাব অংসুই ছাইন চৌধুরী, সদস্য দীপ্তিময় তালুকদার।
এইসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির জাহান, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য থোয়াইচিং মারমা, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উমেচিং মারমা।
দানোৎসবে বিভিন্ন বিহারে পুজনীয় ভিক্ষু সংঘ, সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান, কার্বারী সহ শত শত দায়ক দায়িকা উপস্থিত ছিলেন।
ধর্মীয় জায়গায়, ধর্মীয় কাজে গিয়েছেন, ধর্মের কথা বলা দরকার। শুধুমাত্র ধর্মীয় নয় যে কোন কাজেই যাক্ না কেন। এটিই হলো আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের মূল বক্তব্য। একটি মাত্র বিষয়ের উপর বক্তব্য দিয়ে পুরো সময় শেষ করা হয়। আর তা হলো- বিএনপি দেশএটিকে ধ্বংস করে ফেলেছে, আর আওয়ামী এসে তা ঠিক করেছে। বিএনপি দলের সব চোর।
দেশে স্থাপনার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আওয়ামী নেতা কর্মীরা অর্থ, স্থাপনার মালিক হয়েছে। কিন্তু কতজন দরীদ্র লোকে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে? আওয়ামী ছাড় কতজনের ব্যাংক ব্যালেন্স হয়েছে। কয়জন দরীদ্র লোকের মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, তা জনসমক্ষে জানানো হওক!!!
কিন্তু এক সময়ের পান ব্যাবসায়ী, যিনি মাথায় করে মানুয়ের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে পান বিক্রি করেছে আজ আওয়ামী করে কৌটি পতি, হোটেল-মোটেল এর মালিক বনে গিয়েছে। দরীদ্র জনগনের একমাত্র যানবাহন টমটম থেকে শুরু করে সমস্ত সরকারী ইজারা, ঠিকাদারী তারাই ভোগদখল করছে।
কার নিকট অভিযোগ দিলে সঠিক বিচার পাওয়া যাবে জনগণ দিশেহারা।