দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানের জনজীবন বিপর্যস্ত। গতরাত থেকে অনবরত বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে জেলায়। বান্দরবান পার্বত্য জেলার পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে হাজারো পরিবার, আর ভারী বৃষ্টিতে বান্দরবানে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কা।
এদিকে,পাহাড় ধসে প্রাণহানি এড়ানো ও জানমাল রক্ষার্থে আজ সোমবার (৯ আগস্ট) বিকেল থেকে বান্দরবানে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা পরিবারগুলোকে নিরাপদে সরে যেতে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। জেলা তথ্য অফিসের ভ্যানটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে এ মাইকিং করছে। জেলা সদরের হাফেজঘোনা, ইসলামপুর, কালাঘাটা, বড়ুয়ারটেক, বালাঘাটাসহ বিভিন্ন পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে ঘুরে ব্যাপঁক প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে মাইকিং করে সর্তক করে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হচ্ছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজি এর আদেশক্রমে ঘোষনায় বলা হচ্ছে “ এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কয়েকদিন যাবৎ থেমে থেমে ভারী বর্ষণ হওয়ার ফলে পাহাড়ী ঢলে বন্যাসহ পাহাড় ধসের আশংকা রয়েছে,তাই পাহাড়ের ঢাল,নদী তীরবর্তী এলাকাএবং ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসরত জনসাধারণকে সতর্কতা অবলম্বনসহ নিরাপদস্থানে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হল। প্রয়োজনে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। ”
বান্দরবানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা সিমন সরকার জানান, কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে বান্দরবানের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বান্দরবান যেহেতু পার্বত্য এলাকা, তাই এখানে বিভিন্ন পাহাড়ে অসংখ্য জনসাধারণ বসবাস করে। বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছরই কয়েকদিন পরপরই অতিবৃষ্টি ও বর্ষণে পাহাড় ধসে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে, তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা পরিবারগুলোকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা সিমন সরকার আরো জানান,বান্দরবানের ৭টি উপজেলায় ১৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুুত রয়েছে,যেকোন দুর্যোগে এলাকাবাসী সে সকল আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিতে পারবে।