কারা তাদের সাহস দিচ্ছে, তাদের পেছনে কারা ? – ক্যশৈহ্লা

বান্দরবানের সাংগ্রাই উৎসব

NewsDetails_01

বান্দরবানের আইনশৃংখলা এমন কেন হচ্ছে, এজন্য ঐক্য থাকতে হবে আমাদের। যারা শয়তান, যারা সমাজকে ধংস করতে চাই, তাদেরকে মোকাবেলা করতে হবে। কারা তাদের সাহস দিচ্ছে, তাদের পেছনে কারা? তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

আজ শনিবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে বান্দরবান জেলা শহরের রাজার মাঠে নববর্ষ উপলক্ষ্যে “সাংগ্রাই” এর মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা।

এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা আরো বলেন, আমাদের সামাজিক অনুষ্ঠান, আমাদের ইচ্ছা মতো করবো। আমি সাবধান করছি, সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা সব জায়গায়, গ্রামেগঞ্জে, শহরে আমরা ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান আনন্দ ও সুন্দর ভাবে করছি। শান্তিপ্রিয় এলাকার এখানে ১১টি জাতি গোষ্ঠি আছে, সেখানে ভাঙ্গন সৃস্টি করার জন্য চক্রান্ত সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আজকের আনন্দের দিনেও তবুও আমাকে বলতে হচ্ছে। আমি আইনশৃংখলা বাহিনীকে সাবধান করছি, বারবার বলা স্বত্ত্বও কেন আইনশৃংখলা বিঘ্ন হচ্ছে। এখানে পাড়ার ভেতর আসছে সন্ত্রাসীরা। পাড়ায় কেউ ঘুম যেতে পারছেনা, হুমকি দিচ্ছে, সামাজিক অনুষ্ঠান করতে পারছেনা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে পারছেনা, কেন এসব হচ্ছে বান্দরবানে, আমি দু:খের সাথে এসব বলছি। এদের প্রতিরোধ করতে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

NewsDetails_03

সাংগ্রাই উৎসবে ভয়ে, আতংকে জনসমাগম কম বলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এখানে মানুষের বিশাল সমুদ্র হতো, কিন্তু ভয়ে আতংকে অল্প সংখ্যক মানুষ নিয়ে আমরা আনন্দ করছি।

সাংগ্রাই উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আদিবাসী নেতারা।

এসময় হাজার হাজার পাহাড়ী-বাঙালী মৈত্রী পানি বর্ষণে উপভোগ করে। বিকাল থেকে একই স্থানে মারমা আদিবাসীদের বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠী গান পরিবেশন করে উৎসব অঙ্গনকে মাতিয়ে রাখে।

পুরাতন বছরকে পেছনে ফেলে আসে নতুন বছর, আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পাহাড়ের আদিবাসী পল্লীর মারমা আদিবাসীরা আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে মৈত্রী পানি বর্ষণসহ সাংগ্রাই উৎসবকে কেন্দ্র করে। পাহাড়ের আদিবাসীরা ভিন্ন ভিন্ন নামে বর্ষবরণের এই উৎসব পালন করে থাকে। ত্রিপুরাদের বৈসুর (বৈ), মারমাদের সাংগ্রাইয়ের (সা) চাকমাদের বিঝুর (বি) থেকে বৈসাবি হলেও বান্দরবানের মারমারা বর্ষবরণের এই উৎসবকে সাংগ্রাই বলে থাকে। এই উৎসব দেখতে প্রতিবছরের মতো এবারও বান্দরবানে দেশি বিদেশী পর্যটকদের ভীর পরিলক্ষিত হয়।

প্রসঙ্গত, বান্দরবান জেলা শহরে শনিবার মধ্যরাতে এই উৎসবের ইতি টানা হলেও, জেলার উপজেলা গুলোতে ১৭ এপ্রিল শেষ হবে মারমাদের বর্ষবরণের সাংগ্রাই অনুষ্ঠান।

আরও পড়ুন