দীঘিনালায় রাতের আঁধারে পাহাড় কর্তন

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পরিবেশ আইন না মেনে দেদারছে চলছে রাতের আধারে পেলোডার দিয়ে নির্বিচারে পাহাড় কাটার মহোৎসব।

গত বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা মিলে। ঘটনাটি দীঘিনালার ছোটমেরুং ১৬ নম্বর মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ৷ এখানে পরিবেশ সুরক্ষা আইন লঙ্গন করে পুরো পাহাড় কেটে সাবাড় করছেন নুরুল কবির প্রকাশ ভুট্টো নামের এক ব্যক্তি। গত চার-পাঁচ দিন যাবৎ বুলডোজার দিয়ে পুরোটা পাহাড়ের উপরিভাগ কয়েকটি লেয়ারে কাটা হয়েছে। পাহাড়ে কোথাও সবুজের চিহ্ন মাত্রও নেই। ইতোমধ্যে কয়েক লক্ষ ঘনফুট মাটি কেটে সাবাড় করে দেয়া হয়েছে। নতুন করে আরো এক লেয়ারে অর্ধেক কাটার কাজ শেষ।

তবে পেলোডার দিয়ে পাহাড় কাটার সময় নুরুল কবির প্রকাশ ভুট্টোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়৷ জানতে চাইলে তিনি বলেন, খামারবাড়ি নির্মাণের জন্য আমি পাহাড় কাটছি।

NewsDetails_03

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু ১৬ নম্বর মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় একটি পাহাড় কাটছে তা নয় বরং বেশ কয়েকটি পাহাড়ের মাটি কেটে অনেক পাহাড় দেউলিয়া করে দিয়েছে পাহাড়খেকো সিন্ডিকেট। অভিযুক্তদের সাথে স্থানীয় আরো বড় বড় রাঘব বোয়ালদের সম্পৃক্ততা আছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

অবাধে পাহাড় কাটার ফলে এ এলাকার পাহাড়গুলোর অস্তিত্ব এখন প্রায় বিলীন হওয়ার পথে। নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য। তবে সচেতন মহলের দাবি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই প্রতিবছর এ এলাকায় পাহাড় উজার করছে একটি চক্র। অভিযোগ রয়েছে, পাহাড় কেটে মাটি ট্রলিতে পরিবহন করে অন্যত্র বিক্রিও করা হয়।

দীঘিনালা পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের সভাপতি জাকির হোসেন জানান, অপরিকল্পিত ভাবে পাহাড় কাটার কারণে পাহাড়ি এলাকায় বর্ষায় বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসে। অবিলম্বে পাহাড় খেকোদের অপতৎপরতা বন্ধ করা না গেলে ভয়াবহ পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। এবিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

এই ব্যাপারে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম জানান, রাতের আঁধারে কেউ পাহাড় কেটে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন