বান্দরবানে হোটেল নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

NewsDetails_01

উন্নয়নের নাম করে ম্রো জনগোষ্ঠিকে উচ্ছেদ এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট কওে চিম্বুক পাহাড়ে পাঁচ তারাকা হোটেল এবং আ্যমিউজমেন্ট পার্ক নির্মাণের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে বান্দরবানে।

আজ শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকালে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চের সামনে পার্বত্য চট্টগ্রাম সচেতন ছাত্র সমাজ ও নাগরিকদের ব্যানারে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। এসময় ভূমিদখল বিরোধী বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে শত শত ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহন করেন।

ছাত্রনেতা বং চক ম্রো এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এ্যাডভোকেট মাধবী মারমা, এ্যাডভোকেট উবাথোয়ই মার্মা, উদীচির সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক ক্যাসা মং মার্মা, ছাত্রনেতা রিপন চক্রবর্তীসহ অনেকে।

NewsDetails_03

এসময় নারী নেত্রী এ্যাডভোকেট মাধবী মারমা বলেন, আমরা যারা পাহাড়ী বাঙালী সম্প্রিতীর বান্দরবানে বাস করি আমরা জানি, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি লামা ও আলীকদমের এমন কোন জায়গা নেই যে, যেখানে বড় বড় কোম্পানি জায়গা দখল করেনি। স্থানীয়দের স্বার্থেই আমরা এসব আর হতে দিতে পারিনা।

বান্দরবানে হোটেল নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করছে ছাত্রছাত্রীরা। ছবি-পাহাড়বার্তা

এসময় উদীচির সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক ক্যাসা মং মার্মা, আমি হোটেল নির্মাণের লীজ দেওয়ার এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহন করে এর প্রতিবাদ জানায়।

এসময় বক্তারা অনতিবিলম্বে চিম্বুক এলাকার আশেপাশে সিকদার গ্রুপের হোটেল নির্মাণের লিজ বাতিল করা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে বলে জানান।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ হোটেল নির্মাণের জন্য ২০ একর ভূমি লীজ প্রদান করলেও ১হাজার একর ভূমি দখল করে ম্রো পাড়া উচ্ছেদ করা হচ্ছে দাবী করে বান্দরবানসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

প্রসঙ্গত, গত ২ নভেম্বর এই হোটেল নির্মাণের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সিএইচটি কমিশন। নির্মিতব্য হোটেল সংলগ্ন ৩টি ম্রো গ্রামের অধিবাসীরা বাস্তুচ্যুত হবে এবং আশপাশের আরো পাঁচটি গ্রামের অধিবাসীরা বাস্তুচ্যুত হবার ঝুঁকিতে পড়বে বলে মনে করে কমিশন।

আরও পড়ুন