বান্দরবান প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের কাছে নিবেদন

NewsDetails_01

প্রেসক্লাব। পেশাদার সাংবাদিকদের মিলন কেন্দ্র। বিনোদন কেন্দ্রও বটে। সাংবাদিকদের একসঙ্গে পাওয়া যায়, তাই মানুষ প্রেসক্লাবে যায়। প্রেসক্লাবের কাজ একদিকে মানুষের সেবা দেওয়া, অপরদিকে বিনোদন। অর্থাৎ পেশাগত কাজে গুণগত সেবা প্রদানের মাধ্যমে বিনোদন। বান্দরবান প্রেসক্লাবের ভূমিকাও সেরকমই হবে সবাই আশা করে। সেখানে সক্রিয় সব পেশাদার সাংবাদিক থাকবেন স্বাভাবিক।

কথাটা বললাম একারণেই যে, গত ৬ অক্টোবর বান্দরবান প্রেসক্লাব নতুন সদস্য অন্তর্ভূক্তির বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। বিজ্ঞাপনটি দৈনিক প্রথম আলো চট্টগ্রাম সংস্করণে ছাপা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের জন্য প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন। বহু বছর ধরে প্রেসক্লাবে সদস্য নেওয়ার কথা। কিন্তু নেওয়া হয়নি। প্রথমে ওঁরা ১১ জন। পরে ওঁরা ১৬ জন। তিনজনের প্রয়ানে এখন আবার ওঁরা ১৩ জন। ১৩ জনের মধ্যে বয়সের কারণে, রাজনীতির কারণে ও নানা সীমিবদ্ধতায় সক্রিয়-আধা সক্রিয় রয়েছেন মাত্র পাঁচ-ছয়জন। সক্রিয় সাংবাদিক না থাকায় স্বাভাবিক ভাবে মানুষ বহুদিন ধরে প্রেসক্লাবে যায় না। গেলেও বন্ধ পাওয়া যায়। এ অবস্থায় প্রেসক্লাবটি জনসেবামুখি না হয়ে স্বভাবতই ওরা ১৩ অথবা ওরা ৫-৬ জনের হয়ে যায়। যা একেবারেই বাস্তব।

সেই অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে নতুন সদস্য অন্তর্ভূক্তির বিজ্ঞাপন নি:সন্দেহে খুশির খবর। প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষও নিশ্চয় বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাই তাঁদের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বিনীত অনুরোধ-প্রাথমিক সদস্য, স্নাতক ডিগ্রী, স্থায়ী কমিটি গঠন করে অভিজাততন্ত্রের বিভাজনসহ প্রভৃতি Defensive wall না তুলুন। যারা স্বীকৃত সংবাদ মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন কাজ করছেন, সংবাদ ও জনস্বার্থমুখি তথ্য সেবায় পারফরম্যান্স যাদের ভাল, প্রতিশ্রুতিশীল এবং কাজে সক্ষমতা থাকা ন্যুনতম শিক্ষাগত যোগ্যতার পেশাদারদের সদস্য করার চেষ্টা করুন। মনে রাখা জরুরি যেখানে defensive wall সেখানে Offensives movement গড়ে উঠার সম্ভাবনা থাকে।

NewsDetails_03

প্রেসক্লাবের বিজ্ঞাপনের পর আমার শ্যাম রাখি, না কুল রাখি অবস্থা। আমি কোনো সংগঠনের সদস্য হওয়া, না হওয়া নিয়ে আগ্রহী না। তার মানে এ নয় যে, আমার অপছন্দ। মূলত মনে করি, আমি কোনো সংগঠনে নেই, মানে সব সংগঠনের সঙ্গে আছি। সেই জন্য কোথাও সদস্যপদ নিই না। এবারে প্রেসক্লাবের বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সেখানে আমিও সমস্যার মুখোমুখি। পেশাদার সাংবাদিকরা প্রশ্ন তুলছেন, যে শর্তের কথা বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপনদাতাদের নিজেদের সেই সক্ষমতা আছে কি না আয়নার সামনে দাড়ানো উচিত।

এজন্য প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ, এতসব বিতর্কের অবতারণা না করে স্থানীয় বাস্তবতার নিরীখে নতুন সদস্য নেওয়ার পদক্ষেপ নিন। সময়ের চাহিদা বুঝুন। দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতায় আছি হিসাবে এ পেশার সবার মানসম্মান অক্ষুন্ন থাকুক, সেটাই কামনা করি।

🔴➢ লেখক-বুদ্ধজ্যোতি চাকমা
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক,বান্দরবান।

প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। পাহাড়বার্তার -এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য পাহাড়বার্তা কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।

আরও পড়ুন