লামার পৌর কাউন্সিলর সাকেরা পুত্রের কান্ড

টক অব দ্যা টাউন

NewsDetails_01

প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিকের দৈহিক সম্পর্কের কারনে অন্তঃসত্ত্বা ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের এক খ্রিস্টান ধর্মানুসারী তরুণী, অন্তঃসত্ত্বা ২১ বছরের এই তরুণী এখন ধর্মান্তরিত হয়ে হলেও চাচ্ছেন প্রেমিকের স্ত্রী’র স্বীকৃতি। আলোচিত এই ঘটনা ঘটেছে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায়। তবে এই ঘটনায় কোনোটিতে রাজি নন প্রতারক প্রেমিক আলী হায়দার সাগর এবং তার প্রভাবশালী মা, লামা পৌরসভার সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাকেরা বেগম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম এই তরুণী জেলার লামার দূর্গম পাহাড়ের বাসিন্দা। স্থানীয় এনজিওতে চাকরির সুবাধে লামা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া এলাকায় কাউন্সিলর সাকেরা বেগমের বাসায় কয়েক বছর ধরে ভাড়ায় থাকেন এই তরুণী। আর এই সময়ে ওই ভাড়া বাসার মালিক কাউন্সিলর সাকেরা বেগমের ছেলে সাগর তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে তাদের সেই সম্পর্ক গড়ায় দৈহিক সম্পর্কে। এরমধ্যে একাধিকবার অন্তঃসত্ত্বা হয়েও সাগর এর চাপে পড়ে ওষুধ খেয়ে গর্ভপাত ঘটান তিনি। তবে এবার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর আগের মতো গর্ভপাতের জন্য চাপ দিতেই বেঁকে বসেন এই পাহাড়ী তরুণী।

আরো জানা গেছে, ভিকটিম এখন ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা যায়। পরে এই ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রভাবশালী এই কাউন্সিলর ঘটনা আড়াল করতে জোর তৎপরতা শুরু করে। ঘটনা জানাজানির হওয়ার পর থেকেই প্রেমিক সাগর’কে আত্মগোপনে পাঠিয়ে দেন তার কাউন্সিলর মা।

ভিকটিম এই তরুণীর সাথে পাহাড়বার্তা থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান, তিনি জানান, বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।

তবে এই বিষয়ে স্থানীয় ত্রিপুরা জনগোষ্ঠির প্রতিনিধি আজহা ত্রিপুরা পাহাড়বার্তাকে বলেন, এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পরই ওই মেয়ের মা-বাবা’সহ পুরো পরিবারকে সমাজচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখান কার পাড়াবাসি।

NewsDetails_03

তিনি আরোও বলেন, ত্রিপুরা সমাজের রীতি নীতি আইন অনুসারে, কোনো মেয়ে বিয়ে বর্হিভুত ধর্ষণের শিকার হলে সমাজের আইন অনুযায়ি পাড়া পবিত্র করতে ধর্ষককে দুইটি শুকর ও মদ কেনার প্রয়োজনীয় টাকা জরিমানা দিতে হয়। না হয় ওই মেয়েকে পাড়ায় আর ঢুকতে দেয়া হয় না এবং তার মা-বাবা’সহ পুরো পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়।

অভিযুক্ত সাগর’র মা কাউন্সিলর সাকেরা বেগম এর কাছে পাহাড়বার্তা ঘটনার বিষয়টি জানতে চাইলে, তিনি মেজাজ দেখিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করেন, ঘটনাটি আপনাদের কে জানিয়েছে? মেয়েটি আমার বাড়িতে আছে। ঘটনার সত্যতা জানার জন্য ভিকটিমের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং অভিযুক্ত সাগর কোথায় আছে জানতে চাইলে সাগর বাড়ি নেই বলে ফোন কেটে দেন।

এদিকে স্থানীয়রা মনে করছে, কাউন্সিলর হওয়ার কারনে ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে ঘটনা থেকে সন্তানকে বাঁচাতে মেয়েটিকে নিজ বাসায় আটকে রেখেছেন এই কাউন্সিলর, মেয়েটির দাবী অনুসারে বিয়ের আয়োজন না করেই ছেলেকে পাঠিয়ে দিয়েছেন অন্যত্র।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে জেলার লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, এই ধরণের কোনো ঘটনা নিয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেন নি। অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত,গত কয়েক বছর আগেও কাউন্সিলর সাকেরা বেগম নিজ দুই সন্তান ও স্বামীকে ত্যাগ করে আলি আকবর ড্রাইভার কে বিয়ে করে উপজেলায় আলোচনায় আসে।

আরও পড়ুন