লামায় পরিবেশ বিপর্যয় রোধে তাল গাছের বীজ রোপণ

NewsDetails_01

তালগাছ সাধারণত বজ্রপাত থেকে মানুষকে রক্ষা করাসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। অথচ কালের বির্বতনে বাংলাদেশ থেকে তাল গাছগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে, প্রভাব পড়ছে জলবায়ুতে এবং দেশে প্রতিনিয়ত বজ্রপাতের আঘাতে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে অংখ্য মানুষ। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক আগেই বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় বেশি করে উপকারী তাল গাছের চারা ও বীজ রোপনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তার সেই নির্দেশনা ও অনুশাসনকে সম্মান জানিয়ে বান্দরবানের আলীকদমের পর লামা উপজেলায়ও নিজ উদ্যোগে তাল গাছের বীজ রোপন কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের পাশে তালের বীজ রোপনের মাধ্যমে কর্মসূচীর উদ্ভোধন করেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস.এম কায়চার।

NewsDetails_03

এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সানজিদা বিনতে সালাম, সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা নূরে আলম হাফিজ, তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তা জহির উদ্দিন মিনার চৌধুরী, বিভাগীয় বন কার্যালয়ের প্রধান সহকারী কাজী গোলাম সরোয়ার, চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর ও কাঠ ব্যবসায়ী মুজিবুল হক, মো. সেলিম উদ্দিন, সাংবাদিক মুহাম্মদ কামালুদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস.এম কায়চার বলেন, পার্বত্য লামা ও আলীকদম উপজেলায় তাল গাছ নেই বললেই চলে। তাই বর্ষা মৌসুমের প্রায় সময় বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা এবং পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে এ দইু উপজেখলায় ৫ হাজার তাল গাছের বীজ রোপনের উদ্যোগ নিয়েছি। এর পাশাপাশি প্রত্যেকের বাড়িতে দু’চারটি করে তালগাছের বীজ রোপনের আহ্বান জানান বন কর্মকর্তা এস এম কায়চার।

প্রসঙ্গত, দেশে প্রতিবছর দুই শতাধিক মানুষ বজ্রপাতে মারা যাচ্ছে। যা বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সম্প্রতি দেশে বজ্রপাতের ভয়াবহতা বিবেচনায় নিয়ে এটিকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে গণ্য করছে সরকার।

আরও পড়ুন