সীমান্তে আরো ২টি অবিস্ফোরিত রকেট লাঞ্চার উদ্ধার

NewsDetails_01

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া আরো দুটি অবিস্ফোরিত রকেট লাঞ্চার উদ্ধার করেছে বিজিবি। আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই দুটি রকেট লাঞ্চার উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গেছে, তুমব্রু সীমান্তের পশ্চিমকুলে ফসলের ক্ষেতে কাজ করার সময় অবিস্ফোরিত রকেট লঞ্চার দেখতে পায় স্থানীয়রা।

এদিকে গতকাল শুক্রবার দুপুরে আবারও ভারি মর্টারশেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ কেঁপেছে বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্ত। উড়ে এসেছে অবিস্ফোরিত রকেট লঞ্চার। এর আগে বুধবারও একটি অবিস্ফোরিত মর্টারশেল উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে সেনাবাহিনী। তবে এসব ঘটনা নতুন করে আতংক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

কৃষি জমিতে কাজ করতে গিয়ে রকেট লঞ্চার পাওয়া রাজিয়া বলেন, দেখি শিশুরা লম্বা লোহার রডের মতো একটি জিনিস নিয়ে খেলছে। তখন তাদের কাছ থেকে এটি নিয়ে বাসা চলে আসি। পরে বিজিবিকে এটি হস্তান্তর করি।’

NewsDetails_03

বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি এসব গোলা উদ্ধার করছে। যার চারপাশে টাঙ্গিয়ে দিচ্ছেন লাল পতাকা। নিরাপত্তার স্বার্থে সড়কে দেয়া হয়েছে ব্যারিকেড। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব গোলা যেন নিষ্ক্রিয় করা হয়।

মায়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি (এএ) ও আরকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এর হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার ৩৩০ জন সৈন্য বিজিবির কাছে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করে। দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনার পর তাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে মায়ানমার। ইতোমধ্যে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানালেন শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান।

এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান একটি রকেট লাঞ্চার পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও, বিস্তারিত বিজিবি জানতে পারবেন বলে জানান।

উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি মায়ানমার থেকে বান্দরবানের ঘুমধুমে উড়ে আসা মর্টারশেলের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা।

আরও পড়ুন