বান্দরবানের সাথে থানচির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

ভারী বর্ষণ ও টানা ৫ দিন ব্যাপী বৃষ্টির কারনে বান্দরবান-থানচি সড়কে বাগান পাড়া কালভার্ট সেতু পানিতে ডুবে যাওয়ার কারনে জেলার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে থানচির।

এদিকে থানচি বলিপাড়া অভ্যন্তরীণ সড়কের বয়ক হেডম্যান পাড়া কালভার্ট সেতু সাংগু নদীর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৫ টা দিকে এ অবস্থার সৃস্টি হয়েছে বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অপরদিকে উপজেলা সদর থেকে দুর্গম রেমাক্রী তিন্দু ইউনিয়নের সাথে শুক্রবার হতে অদ্যবধি পর্যন্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

জানা গেছে,বান্দরবানের থানচিতে টানা ভারী বর্ষনে উপজেলা বিভিন্ন গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়া সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। টানা বর্ষণের ফলে বেশ কিছু জায়গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজনের ঘরবাড়ি আংশিক চাপা পড়লেও পাহাড় ধসে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

NewsDetails_03

বলিপাড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে বাগান পাড়া, হিন্দু পাড়া, মুসলিম পাড়া দুই শতাধিক পরিবারের লোকজন বলিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে মালামাল নিয়ে ছুটাছুটি করতে দেখা গেছে। ওয়ার্ড মেম্বার স্বজল কর্মকার জানান, অবিরাম বৃষ্টি হলে বা আজ রাতে আমাদের ওয়ার্ডের তিন পাড়ার ঘরবাড়ী তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সরকারী আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ১৫ পরিবার চলে গেছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, গত মঙ্গলবার হতে অবিরাম ভারী বৃস্টি হওয়ায় সাংগু নদীর ও পাহাড়ে শাখা প্রশাখা ঝিড়ির ঝর্নায় পানির স্রোত বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা পরিষদ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাঝখানে বয়ক হেডম্যান পাড়ার ঝিড়িতে একটি কালভার্ট পানিতে ডুবে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মুহা: আবুল মনসুর বলেন, সদর ও বলিপাড়া দুই ইউনিয়নের দুইটি কালভার্ট পানিতে তলিয়ে গেছে বলে ইউপি চেয়ারম্যানরা খবর দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যে কোন দুর্যোগে সহযোগিতার জন্য কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফায়ার সার্ভিস, যুব রেড ক্রিসেন্ট ও থানা পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। ইতিমধ্যে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের ৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসতে মাইকিং করা হয়েছে।

আরও পড়ুন